এক বিপন্ন বিস্ময়ের ঘোরে বসবাস করি মাঝে মাঝে। বুঝিনা কোথা হতে কোথায় নিয়ে যায় অচিন রাজহাঁস। তার সাদা অথবা ধূসর ডানায়ই বা কি গন্ধ থাকে? যার ঘ্রাণ মোহিত করে আমাকে, ডাকে তার পিছু পিছু। সেই হ্যামিলনের বাঁশীওয়ালার মতো। ছুটতেই থাকি আর ছুটতেই থাকি। কোনও ক্লান্তি আসে না শরীর ও মনে। অথচ দেখো তুমি কেবল প্রেম করতে বলেছিলো বস্তু আর বাস্তবের সাথে... তাতে রাজ্যের কান্তি এসে হানা দেয়। দুয়ারে যখন সকাল বেলা দুধের হাড়ি হাতে দাঁড়ায় গাওয়াল। তখন তাকে মনে হয় দিয়ে দেই সমস্ত অর্জনের চাবিকাঠি। আমি এমন কেনো? তবে কি সরে যাচ্ছি মন্ত্রের কার্যকর দুনিয়ার বাইরে? জানিনা। জানার প্রয়োজনও বোধ করি না। আমি না হয় সুরার টেবিলে না থাকলাম, নাই থাকলাম বাইজিঁর কোমরের কাছে; তাই বলে রোজ ভোরবেলা একটা খবরের কাগজ আমার মৃত্যু সংবাদ ছাপবে? তবে বাজারে উঁচু দামে কেনা জীবনাচার নাইবা জগতের অলিক বস্তু হয়ে থাকলো ডাকপিয়নের দিয়ে যাওয়া খামে।
এটা কোনও কবিতার সংজ্ঞা নয়, কোনও পূর্ণাঙ্গ কবিতাও নয় অথবা নয় কোনও জীবনের রূপায়ন। এ মাত্র একটি জীবনের এক আয়নায় দেখা দৃশ্যকল্প।
বুকে গন্দমের গন্ধ নিয়ে এবার খুলেছি জোনাক রাত্রী
তবুও মৃত্যুর কুসুম স্বাদ ভরে তোলে রঙের গোলাঘর
এইখানে তার অপেক্ষার রক্তে ভেসে গেছে সুরার টেবিল
সেই অমোঘ শ্মশ্মানের ডাক শুনে ফিরে চায় বাদামী বাতাস
খোলা জানালায় সে কি ছিলো হেমলকের পাত্র হাতে?
নাকি কোনও ভুল জন্মের সওদা করে তার কাছে ছুটি নিয়েছে
কাবুলিওয়ালা?
এই অক্ষরের পায়রা তোমার হৃদয়ে ডানা মেলে বারবার
যদিও আপন সন্তানের কথা ভেবে ভুলে যাও-
সৃষ্টিও এক বিপন্ন সন্তানের নাম;
তার কুষ্ঠিতে লেখা ছিলো পিতার নাম এক সওদাগর
যে কিনা ভুল করে ফিরে এসেছিলো নামগন্ধহীন বাগানের দ্বারে
আমরা তো কেবল পাথরের মূর্তি তৈরি করি-
সে তাই এখানে গড়েছিলো বাতাসের জাদুঘর
শীতের সকালে তার নাম এক অলিক কুয়াশার মতো
আমাদের গায়ে এসে জড়ায়-
বলে পিতৃমাতৃহীন যুবকের নামই তো কবিতা।
বলে পিতৃমাতৃহীন যুবকের নামই তো কবিতা।
0 মন্তব্য(গুলি):