সে- আপনি কেমন আছেন?
আমি- আমি রান্না করতে হয় বলে ভালো নেই। অন্য সব দিক দিয়ে ভালো আছি।
সে- হা হা হা!!! এক কাজ করুন। বিয়ে করে ফেলুন।
আমি- আমাকে বিয়ে করবে কে? এমন পাগল পৃথিবীতে নাই। আমার অবশ্য তত ঝামেলাও নাই। ভাইয়া থাকলে সেই রান্না করে। ভাবি থাকলে তো আরও টেনশন ফ্রি।
সে- কেন? কেন? কেন বিয়ে করবে না?
আমি- আমার ধারণা আমি অন্য সবার মতো নই। মেয়েরা যেসব বিষয়/গুণ একটা ছেলের মাঝে চায় বা পছন্দ করে তা আমার মাঝে নেই। আর মেয়েদের কাছে আমি কখনোই নিজেকে এক্সপ্লোর করতে পারি না। যতটা পেরেছি বন্ধুদের (ছেলে ও মেয়ে উভয় প্রকারই বন্ধু) কাছে। একজন যদি আমাকে না জানে, তবে সে কি আমাকে চাইবে?
সে- হুম। তাহলে জেনে বুঝে তারপর চাইবে।
আমি -কারও বয়ে গেছে আমাকে জানার জন্য।
সে- হা হা হা। খোঁজ নিয়ে দেখুন, কারোর হয়ত বয়ে যেতেও পারে, আপনি জানেন না। সময় সব বলে দেবে।
আমি- এই সময়ের মেয়েরা (ব্যতিক্রম আছে, তবে তাকে পাচ্ছি না। যদিও খুঁজছি) নিজেদেরকে পণ্য মনে করে। মনে করে ভালো দাম যেখানে পাবে সেখানে নিজেকে বিনিয়োগ করবে। আমিতো পন্য কিনতে পারবো না। কারণ আমি ব্যবসায়ি নই। আমি মানুষ। আমি কেবল পারবো ভালোবাসতে। আর পারবো আস্থার প্রতিদান দিতে। তাই আমার জন্য কেউ নেই। তবে হ্যা, খুব বেশী দিন খুঁজবোও না কাউকে। সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছি। ৪০ বছরের বেশী বাঁচতে চাই না। এর ভেতর যদি মনে হয়, আমাকে পৃথিবীর প্রয়োজন তবে্ই এর বেশী বেঁচে থাকবো।
সে- হায়রে! ওমা! ও কি কথা? ৪০ পেরুলে কি করবেন? যদি মনে করেন যে, পৃথিবী আপনাকে চায় না?
আমি- ৪১ তম জন্মদিনে মরে যাবো।
সে- আপনার ইচ্ছা মত!!!??? জন্মমৃত্যু কি আপনার কথায়???? কি জানি?
আমি - আমি পৃথিবীটাকে আমার ভবিষ্যতের মানুষগুলোর জন্য একটা আবাস দিতে চাই। তাই মনে করি, যেই পৃথিবীতে আমার প্রয়োজন নেই। সেই পৃথিবীর সম্পদ আমি কেন নষ্ট করবো? তবে হ্যা, আমার চেষ্টা এখনো আছে, থাকবে পৃথিবীতে যেনো আমি আরও দীর্ঘ দিন থেকে থাকার মতো নিজেকে প্রয়োজনীয় করে তুলতে পারি।
সে - আচ্ছা, আমি বুঝেছি, আপনার দর্শন আমার পক্ষে বোঝা সম্ভব না। তাই, এই টপিক বাদ।
0 মন্তব্য(গুলি):