শীতের
রাতে আমরা সবে কাঁথামুরি দিয়ে বিছানায় পড়তে বসেছি। এই শীতে আমাদের
পড়াশোনার ধার অনেকটা কমে যায়। শীতের অজুহাতে আমরা চেয়ার টেবিল ছেড়ে বিছানায়
বসে বসে স্কুলের পড়া তৈরি করি। ফলে আমাদের মাঝে মাঝে চোখ নেবে আসে। আমরা
ঘুমাতে ঘুমাতে পড়ি আর পড়তে পড়তে ঘুমাই। এমন সময় আমাদের নানুর কথা পরে। তিনি
এইরকম শীতের রাতে আমাদের ভাই-বোনদের নিয়ে গল্পকরতে বসতেন।
আমরা গল্প শুনতে শুনতে ঘুমিয়ে যেতাম। নানু অনেকদিন আমাদের বাড়িতে আসেন না। নানুর একটা গল্প প্রায়ই মনে পড়ে আমার। নানু যেই দুই রাণীর গল্পটা বলতেন সেই টা। তিনি বলতেন- এক দেশে ছিলো দুই রাণী। কোনও রাজা ছিলো না। দুই রানী পালাকরে রাজ্য পরিচালনা করতো। সেই রাজ্যের মানুষগুলো ছিলো অনেক সুখি। তাদের তেমন কোনও প্রত্যাশা ছিলো না। আর তাই তারা যখন যা হাতের কাছে পেতো তাই নিয়ে সুখি থাকতো। এমনও মানুষছিলো সেই রাজ্যে যে, মানুষ দিনে একবেলা খেয়ে না খেয়ে দিন যাপন করতো। কিন্তু তারপরও সেইসব মানুষেরা রাজ্যের নীতিনির্ধারকদের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ দাখিল করতো না। আর রাজ্যের নীতি নির্ধারনী ব্যক্তিরাও রাষ্ট্র সেবায় ছিলো চরম উদাসিন। তারা শুধু নিজেদের কথাই ভাবতো। নিজেদের সম্পদের ভাণ্ডার বিশাল করার জন্যই কেবল তারা ভাবতো। এইভাবে এক একজনের সম্পদের পাহাড় বাড়তে বাড়তে বিশালাকার ধারণ করে। কিন্তু তারপরও জনগন তাদের কিচ্ছু বলতো না। তারাও কেবল নিজেদের কথা ভাবতো। ভাবতো আমার কোনওভাবে চলতে পারলেই হলো। কেউ অন্য কারও কথা ভাবতো না। এইভাবেই দিন চলছিলো। একদিন রাতে হঠাৎ করে সেই দুই রানী কিভাবে কিভাবে জানি নিজ নিজ বাড়িতে মরে গেলো। রাজ্যে তখন রাষ্ট্রশাসকের বড় অভাব! কে চালাবে রাষ্ট্র? জাতীর বিবেকের কাছে তখন এই প্রশ্ন। কেউ উত্তর দিতে পারে না। এমন পরিস্থিতিতে কে হবেন রাজা? এই প্রশ্ন করতো নানু। আমি তখন চিৎকার দিয়ে বলে উঠতাম- আমি!
হঠাৎ আমার বোধোদয় হয় আমি হঠাৎ ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। এতক্ষণ নানুর বলা গল্পটি আমি স্বপ্ন দেখছিলাম। আর ঘুম ভাঙার পর দেখি আপু আমার সামনে দাঁড়িয়ে আমাকে জিজ্ঞেস করছে ‘কিরে, কি করছিলি।’ আমি মুচকি হাসি দিলে সে আবার জিজ্ঞেস করে, ‘কি স্বপ্ন দেখছিলি?’ আমি বলি নানু যে প্রায়ই গল্পটা বলতো সেইটা। আপু আমাকে গল্পটি বলতে বলে। আমি বলতে চাই না। কিন্তু তার জোড়াজোড়িতে আমাকে বলতে হয়। গল্প শুরু করার আগেই আমি বলি- ‘গল্প বলতে পারবো, তবে এই গল্পের নাম কিন্তু জানিনা।’
আমরা গল্প শুনতে শুনতে ঘুমিয়ে যেতাম। নানু অনেকদিন আমাদের বাড়িতে আসেন না। নানুর একটা গল্প প্রায়ই মনে পড়ে আমার। নানু যেই দুই রাণীর গল্পটা বলতেন সেই টা। তিনি বলতেন- এক দেশে ছিলো দুই রাণী। কোনও রাজা ছিলো না। দুই রানী পালাকরে রাজ্য পরিচালনা করতো। সেই রাজ্যের মানুষগুলো ছিলো অনেক সুখি। তাদের তেমন কোনও প্রত্যাশা ছিলো না। আর তাই তারা যখন যা হাতের কাছে পেতো তাই নিয়ে সুখি থাকতো। এমনও মানুষছিলো সেই রাজ্যে যে, মানুষ দিনে একবেলা খেয়ে না খেয়ে দিন যাপন করতো। কিন্তু তারপরও সেইসব মানুষেরা রাজ্যের নীতিনির্ধারকদের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ দাখিল করতো না। আর রাজ্যের নীতি নির্ধারনী ব্যক্তিরাও রাষ্ট্র সেবায় ছিলো চরম উদাসিন। তারা শুধু নিজেদের কথাই ভাবতো। নিজেদের সম্পদের ভাণ্ডার বিশাল করার জন্যই কেবল তারা ভাবতো। এইভাবে এক একজনের সম্পদের পাহাড় বাড়তে বাড়তে বিশালাকার ধারণ করে। কিন্তু তারপরও জনগন তাদের কিচ্ছু বলতো না। তারাও কেবল নিজেদের কথা ভাবতো। ভাবতো আমার কোনওভাবে চলতে পারলেই হলো। কেউ অন্য কারও কথা ভাবতো না। এইভাবেই দিন চলছিলো। একদিন রাতে হঠাৎ করে সেই দুই রানী কিভাবে কিভাবে জানি নিজ নিজ বাড়িতে মরে গেলো। রাজ্যে তখন রাষ্ট্রশাসকের বড় অভাব! কে চালাবে রাষ্ট্র? জাতীর বিবেকের কাছে তখন এই প্রশ্ন। কেউ উত্তর দিতে পারে না। এমন পরিস্থিতিতে কে হবেন রাজা? এই প্রশ্ন করতো নানু। আমি তখন চিৎকার দিয়ে বলে উঠতাম- আমি!
হঠাৎ আমার বোধোদয় হয় আমি হঠাৎ ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। এতক্ষণ নানুর বলা গল্পটি আমি স্বপ্ন দেখছিলাম। আর ঘুম ভাঙার পর দেখি আপু আমার সামনে দাঁড়িয়ে আমাকে জিজ্ঞেস করছে ‘কিরে, কি করছিলি।’ আমি মুচকি হাসি দিলে সে আবার জিজ্ঞেস করে, ‘কি স্বপ্ন দেখছিলি?’ আমি বলি নানু যে প্রায়ই গল্পটা বলতো সেইটা। আপু আমাকে গল্পটি বলতে বলে। আমি বলতে চাই না। কিন্তু তার জোড়াজোড়িতে আমাকে বলতে হয়। গল্প শুরু করার আগেই আমি বলি- ‘গল্প বলতে পারবো, তবে এই গল্পের নাম কিন্তু জানিনা।’
'নানুর কথা *মনে পড়ে... এই লেখাটি দেখেন আবার। ছোটো খাটো টাইপো আছে।
উত্তরমুছুন'আমি তখন চিৎকার দিয়ে বলে উঠতাম- আমি!'
"গল্প শুরু করার আগেই আমি বলি- ‘গল্প বলতে পারবো, তবে এই গল্পের নাম কিন্তু জানিনা।’"---খুব গভীর একটি লেখা। ভাল লাগলো।