ইদানিং প্রায়ই এমন হয়। মনে হয় সব ছেড়ে ছুড়ে দূরে কোথাও পালিয়ে যাই। অথবা পালাই নিজের কাছ থেকে। পারি না। পারতে দেয় না বললে ভুল হবে। আসলে পারি না। এতটুকু মতা এখনো হয়নি বোধ হয়। হলে তো পারতামই। আসলে কোথায় পালাবো? এখনো কি পালিয়েই নেই? এই প্রশ্নগুলোও মাঝে মাঝে মনে আসে। উত্তর খুঁজি নিজের কাছেই। মাঝে মাঝে শান্তনার জন্য কিছু কথা পাওয়া যায়। আসলে সেই শান্তনাই। উত্তর আসে নিজের কাছে।
পালিয়েই তো আছো। আর কোথাও পালাতে চাও?
কোথায় পালালাম? পাল্টা প্রশ্ন করি।
সেও ঝটপট উত্তর দেয়, নিজের থেকে কি পালিয়ে আছো না এই স্বার্থপর ভূবনে? তোমার তো এখন মেঘ হয়ে ভাসার কথা ছিলো ঢাকার উত্তপ্ত বাতাসে বাতাসে।
তাই কি?
হ্যা তাই। অথচ তুমি ছুটছো অন্ধ পাথরের ভূবনে নিজেকে এক পাথর প্রমাণ করার জন্য।
থমকে যাই মনে মনে। কথাগুলো পূর্নবার শুনি। কানের ভেতর দিয়ে সিগারেট এর ধোঁয়া বেড় হয়। অথচ সেখান থেকে তো শৈত্য প্রবাহ আসার কথা ছিলো।
এইভাবে কান গরম করে দেয় ভেতরের স্বত্ত্বা। ‘আমি কি করিব’ ভেবে স্থির হয়ে বসে থাকি।
প্রিয় আকাশ,
তোমার কাছে কি ভরশূন্য হওয়ার কোনও আপেল গাছ আছে?
আমি আকাশে মেখেছি ধুলোময় কলাপাতার রঙ
এবেলা বাদাম আর শুকনো রুটির স্নিগ্ধতা মেখে
দিগন্তে উড়িয়েছি ঘুড়ি-
তুমি কি বাতাসের উপারে ছিলে? দেখেছো এই বদলের মিছিলে রাঙা
পায়রাগুলো তবুও পায়রাই থেকে যায়
0 মন্তব্য(গুলি):