শুক্রবার, ২৮ অক্টোবর, ২০১১


এক বিপন্ন বিস্ময়ের ঘোরে বসবাস করি মাঝে মাঝেবুঝিনা কোথা হতে কোথায় নিয়ে যায় অচিন রাজহাঁসতার সাদা অথবা ধূসর ডানায়ই বা কি গন্ধ থাকে? যার ঘ্রাণ মোহিত করে আমাকে, ডাকে তার পিছু পিছুসেই হ্যামিলনের বাঁশীওয়ালার মতোছুটতেই থাকি আর ছুটতেই থাকিকোনও ক্লান্তি আসে না শরীর ও মনেঅথচ দেখো তুমি কেবল প্রেম করতে বলেছিলো বস্তু আর বাস্তবের সাথে... তাতে রাজ্যের কান্তি এসে হানা দেয়দুয়ারে যখন সকাল বেলা দুধের হাড়ি হাতে দাঁড়ায় গাওয়ালতখন তাকে মনে হয় দিয়ে দেই সমস্ত অর্জনের চাবিকাঠিআমি এমন কেনো? তবে কি সরে যাচ্ছি মন্ত্রের কার্যকর দুনিয়ার বাইরে? জানিনাজানার প্রয়োজনও বোধ করি নাআমি না হয় সুরার টেবিলে না থাকলাম, নাই থাকলাম বাইজিঁর কোমরের কাছে; তাই বলে রোজ ভোরবেলা একটা খবরের কাগজ আমার মৃত্যু সংবাদ ছাপবে? তবে বাজারে উঁচু দামে কেনা জীবনাচার নাইবা জগতের অলিক বস্তু হয়ে থাকলো ডাকপিয়নের দিয়ে যাওয়া খামে
এটা কোনও কবিতার সংজ্ঞা নয়, কোনও পূর্ণাঙ্গ কবিতাও নয় অথবা নয় কোনও জীবনের রূপায়নএ মাত্র একটি জীবনের এক আয়নায় দেখা দৃশ্যকল্প

বুকে গন্দমের গন্ধ নিয়ে এবার খুলেছি জোনাক রাত্রী
তবুও মৃত্যুর কুসুম স্বাদ ভরে তোলে রঙের গোলাঘর
এইখানে তার অপেক্ষার রক্তে ভেসে গেছে সুরার টেবিল
সেই অমোঘ শ্মশ্মানের ডাক শুনে ফিরে চায় বাদামী বাতাস
খোলা জানালায় সে কি ছিলো হেমলকের পাত্র হাতে?
নাকি কোনও ভুল জন্মের সওদা করে তার কাছে ছুটি নিয়েছে
কাবুলিওয়ালা?

এই অক্ষরের পায়রা তোমার হৃদয়ে ডানা মেলে বারবার
যদিও আপন সন্তানের কথা ভেবে ভুলে যাও-
সৃষ্টিও এক বিপন্ন সন্তানের নাম;
তার কুষ্ঠিতে লেখা ছিলো পিতার নাম এক সওদাগর
যে কিনা ভুল করে ফিরে এসেছিলো নামগন্ধহীন বাগানের দ্বারে

আমরা তো কেবল পাথরের মূর্তি তৈরি করি-
সে তাই এখানে গড়েছিলো বাতাসের জাদুঘর
শীতের সকালে তার নাম এক অলিক কুয়াশার মতো
আমাদের গায়ে এসে জড়ায়-


বলে পিতৃমাতৃহীন যুবকের নামই তো কবিতা

গন্ধম ফলের লোভে লোভে

at শুক্রবার, অক্টোবর ২৮, ২০১১  |  No comments


এক বিপন্ন বিস্ময়ের ঘোরে বসবাস করি মাঝে মাঝেবুঝিনা কোথা হতে কোথায় নিয়ে যায় অচিন রাজহাঁসতার সাদা অথবা ধূসর ডানায়ই বা কি গন্ধ থাকে? যার ঘ্রাণ মোহিত করে আমাকে, ডাকে তার পিছু পিছুসেই হ্যামিলনের বাঁশীওয়ালার মতোছুটতেই থাকি আর ছুটতেই থাকিকোনও ক্লান্তি আসে না শরীর ও মনেঅথচ দেখো তুমি কেবল প্রেম করতে বলেছিলো বস্তু আর বাস্তবের সাথে... তাতে রাজ্যের কান্তি এসে হানা দেয়দুয়ারে যখন সকাল বেলা দুধের হাড়ি হাতে দাঁড়ায় গাওয়ালতখন তাকে মনে হয় দিয়ে দেই সমস্ত অর্জনের চাবিকাঠিআমি এমন কেনো? তবে কি সরে যাচ্ছি মন্ত্রের কার্যকর দুনিয়ার বাইরে? জানিনাজানার প্রয়োজনও বোধ করি নাআমি না হয় সুরার টেবিলে না থাকলাম, নাই থাকলাম বাইজিঁর কোমরের কাছে; তাই বলে রোজ ভোরবেলা একটা খবরের কাগজ আমার মৃত্যু সংবাদ ছাপবে? তবে বাজারে উঁচু দামে কেনা জীবনাচার নাইবা জগতের অলিক বস্তু হয়ে থাকলো ডাকপিয়নের দিয়ে যাওয়া খামে
এটা কোনও কবিতার সংজ্ঞা নয়, কোনও পূর্ণাঙ্গ কবিতাও নয় অথবা নয় কোনও জীবনের রূপায়নএ মাত্র একটি জীবনের এক আয়নায় দেখা দৃশ্যকল্প

বুকে গন্দমের গন্ধ নিয়ে এবার খুলেছি জোনাক রাত্রী
তবুও মৃত্যুর কুসুম স্বাদ ভরে তোলে রঙের গোলাঘর
এইখানে তার অপেক্ষার রক্তে ভেসে গেছে সুরার টেবিল
সেই অমোঘ শ্মশ্মানের ডাক শুনে ফিরে চায় বাদামী বাতাস
খোলা জানালায় সে কি ছিলো হেমলকের পাত্র হাতে?
নাকি কোনও ভুল জন্মের সওদা করে তার কাছে ছুটি নিয়েছে
কাবুলিওয়ালা?

এই অক্ষরের পায়রা তোমার হৃদয়ে ডানা মেলে বারবার
যদিও আপন সন্তানের কথা ভেবে ভুলে যাও-
সৃষ্টিও এক বিপন্ন সন্তানের নাম;
তার কুষ্ঠিতে লেখা ছিলো পিতার নাম এক সওদাগর
যে কিনা ভুল করে ফিরে এসেছিলো নামগন্ধহীন বাগানের দ্বারে

আমরা তো কেবল পাথরের মূর্তি তৈরি করি-
সে তাই এখানে গড়েছিলো বাতাসের জাদুঘর
শীতের সকালে তার নাম এক অলিক কুয়াশার মতো
আমাদের গায়ে এসে জড়ায়-


বলে পিতৃমাতৃহীন যুবকের নামই তো কবিতা

Read More

0 মন্তব্য(গুলি):

বৃহস্পতিবার, ১৩ অক্টোবর, ২০১১


ভুল ঠিকানা নিয়ে ডাক পিয়ন ফিরে গেলে কিছুই করার থাকেনা লেবু গাছের
তার চেয়ে বরং ডাক টিকিটের নাম মুখস্থ করি- দেখি জানালা জুড়ে খোলা আকাশের রাত
নিশ্চুপ ঝড়ে যাচ্ছে খামে ভরা চিঠিতে।
তোমদের ঈশ্বর আজ ঠিকানাহীন বালক হয়েছে
গাদা ফুলের পাপরি মেখে এইবার তার নীল নাম পড়ে ফেলেছে সময়
আসো- দেখো কিভাবে মেঘ ছাড়া তার বৃষ্টি হয়।

ইলিয়াস কমল-এর কবিতা

at বৃহস্পতিবার, অক্টোবর ১৩, ২০১১  |  No comments


ভুল ঠিকানা নিয়ে ডাক পিয়ন ফিরে গেলে কিছুই করার থাকেনা লেবু গাছের
তার চেয়ে বরং ডাক টিকিটের নাম মুখস্থ করি- দেখি জানালা জুড়ে খোলা আকাশের রাত
নিশ্চুপ ঝড়ে যাচ্ছে খামে ভরা চিঠিতে।
তোমদের ঈশ্বর আজ ঠিকানাহীন বালক হয়েছে
গাদা ফুলের পাপরি মেখে এইবার তার নীল নাম পড়ে ফেলেছে সময়
আসো- দেখো কিভাবে মেঘ ছাড়া তার বৃষ্টি হয়।

Read More

0 মন্তব্য(গুলি):

শনিবার, ৮ অক্টোবর, ২০১১

একটা মানুষের জীবনে কতটুকু সময় প্রয়োজন? কতটুকু সময় হলে সে বলবে আমি সম্পূর্ণ? বা তার জীবনের আর কোনও চাহিদা থাকবে না? প্রশ্নগুলোর উত্তর আপেক্ষিক। স্থান কাল পাত্র ভেদে তা পরিবর্তিত হয়। কিন্তু একটা বিষয় নিশ্চিত খুব বেশী সময় লাগে না একটা মানুষের নিজেকে প্রমাণ করার। আর তার উদাহরণ আমাদের পৃথিবীতে অহরহ। তাই পৃথিবীতে যদি খুব বেশী প্রয়োজনীয় না হয় তবে আমি মনে করি একটা মানুষের ৪০ বছরের বেশী বেঁচে থাকার প্রয়োজন নেই। আমিও তাই চাই নিজের জীবনেও। আমি যদি নিজেকে প্রমাণ করতে পারি যে আমি যা করতে চেয়েছিলাম তা অনেকাংসে পেরেছি তবে আমি আমার ৪০ ও ৪১ তম জন্মদিনের মাঝে পৃথিবী ত্যাগ করতে চাই। হয়তো এ সময় আমি আত্মহত্যা করবো। আমার মনে হয় তার প্রয়োজন পরবে না। এই বাংলাদেশে যদি আমি প্রয়োজনীয় হয়ে উঠি, তবে আমার তার চেয়ে বেশী বেঁচে থাকটাও অসম্ভব হয়ে উঠবে। রাষ্ট্রই তার প্রাকৃতিক ব্যবস্থা দিয়ে আমাকে আমার ইচ্ছা পূরণ করবে। আর তা হোক না, যেভাবেই।

চালশে হবার আগেই মরতে চাই

at শনিবার, অক্টোবর ০৮, ২০১১  |  No comments

একটা মানুষের জীবনে কতটুকু সময় প্রয়োজন? কতটুকু সময় হলে সে বলবে আমি সম্পূর্ণ? বা তার জীবনের আর কোনও চাহিদা থাকবে না? প্রশ্নগুলোর উত্তর আপেক্ষিক। স্থান কাল পাত্র ভেদে তা পরিবর্তিত হয়। কিন্তু একটা বিষয় নিশ্চিত খুব বেশী সময় লাগে না একটা মানুষের নিজেকে প্রমাণ করার। আর তার উদাহরণ আমাদের পৃথিবীতে অহরহ। তাই পৃথিবীতে যদি খুব বেশী প্রয়োজনীয় না হয় তবে আমি মনে করি একটা মানুষের ৪০ বছরের বেশী বেঁচে থাকার প্রয়োজন নেই। আমিও তাই চাই নিজের জীবনেও। আমি যদি নিজেকে প্রমাণ করতে পারি যে আমি যা করতে চেয়েছিলাম তা অনেকাংসে পেরেছি তবে আমি আমার ৪০ ও ৪১ তম জন্মদিনের মাঝে পৃথিবী ত্যাগ করতে চাই। হয়তো এ সময় আমি আত্মহত্যা করবো। আমার মনে হয় তার প্রয়োজন পরবে না। এই বাংলাদেশে যদি আমি প্রয়োজনীয় হয়ে উঠি, তবে আমার তার চেয়ে বেশী বেঁচে থাকটাও অসম্ভব হয়ে উঠবে। রাষ্ট্রই তার প্রাকৃতিক ব্যবস্থা দিয়ে আমাকে আমার ইচ্ছা পূরণ করবে। আর তা হোক না, যেভাবেই।

Read More

0 মন্তব্য(গুলি):

রবিবার, ২ অক্টোবর, ২০১১


যে বন্ধুকে পাহাড় দিয়েছিলাম, সে গতকাল টা ফেরত দিয়ে গেছে
এবার আমি তাকে হাসপাতাল উপহার দিলাম
এতে সে বেজায় খুশি- সে জানে
আমার পাহাড়ের চেয়ে হাসপাতাল প্রয়োজন ছিলো বেশি ॥

ইলিয়াস কমল-এর কবিতা

at রবিবার, অক্টোবর ০২, ২০১১  |  No comments


যে বন্ধুকে পাহাড় দিয়েছিলাম, সে গতকাল টা ফেরত দিয়ে গেছে
এবার আমি তাকে হাসপাতাল উপহার দিলাম
এতে সে বেজায় খুশি- সে জানে
আমার পাহাড়ের চেয়ে হাসপাতাল প্রয়োজন ছিলো বেশি ॥

Read More

0 মন্তব্য(গুলি):

এই সাইটের যে কোনও লেখা যে কেউ অনলাইনে ব্যবহার করতে পারবে। তবে লেখকের নাম ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক।

Blogger template Proudly Powered by Blogger. Arranged By: এতক্ষণে অরিন্দম