১.
হৃদয়ের ভূত মাথায়
চড়ে বসলে
জানালা ভর্তি
শাপ কিলবিল
করে। যেটুকু
বাতাস বুকে
ধরে রাখতে
পারতাম, সেটুকুও
ফুরিয়ে যায়
দ্রুত। নিঃশ্বাস
বন্ধ হয়ে
যায়। চারপাশে
তাকিয়ে একটা
মুখ খুঁজি,
তালপাখা হাতে
নিয়ে বসে
আছে এমন
নয়। কেবল
একটা স্বস্তির
মুখ। সেই
মুখ হারিয়ে
যায়, দেখি
একটি সবুজ
টিয়া পাখি
বারান্দার গ্রিল ধরে দাঁড়িয়ে থাকে।
তাকায় আমার
চোখে। তার
চোখে চোখ
রেখে পাঠ
করি আত্মসমালোচনা-
পাশের বাড়ির জানালা
প্রতিদিন গিলে
খাচ্ছে লোভগুলো।
আমি তো সকাল
সকাল ঘুমিয়ে
যাই,
ঘুম ভাঙে আর
একটা লোভের
জগতে।
এইসব জাদুবাস্তবতার কলরব
আমি প্রতিদিনই
শুনি। ঘুমিয়ে
যাওয়ার আগে
অথবা ঘুমের
ঘোরে সে
এসে চেপে
ধরে কণ্ঠনালি।
কি যেন
বলতে চেয়ে
ভুলে যাই।
মুখ দিয়ে
গোঙানির শব্দ
আসতে চায়।
আর মনে
হয় এই
সেই অব্যক্ত
কথা, যা
কিনা তোতা
পাখিটা বারবার
স্মরণ করিয়ে
দিতে চেয়েছিলো।
তোতার চোখে
ঘুমের আহ্বান।
আমি তার
কাছে সকালের
ঘুমের গল্প
শুনতে চাই।
সে বলে
পাখিপুরাণ একটি সংসারের গল্প। অথচ
আমার তেমন
কোনও কথাই
হয় নি
তার সাথে।
মগজে যে ধরে
আছি ভুতের
উসিলা, তার
সাথে কি
আর দোনামোনা
চলে? সে
তো ভাবের
দুনিয়ায় নাও
ভাসাইয়া কই
যে হারায়,
তার কোনও
ইয়ত্তা নাই।
1 মন্তব্য(গুলি):