সোমবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১২


কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের ছুটি গল্পের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে

কবে মৃত্যুর পাহাড় বেয়ে চূড়ায় উঠবে রক্তিম জবা ফুল
তার শরীরে কি আজও বাতাসের গন্ধ মেখে বসে আছে
                রাতের কুসুম?
ঈশ্বরের বেগুনি ঠুঁটে চুমু খাওয়ার বদলে সে তাই বসে আছে
আর এক পৃথিবীর যৌন তৃষ্ণা মেটাতে

ছুটি পেলেই বাড়ি যাবে

ছুটি

at সোমবার, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১২  |  No comments


কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের ছুটি গল্পের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে

কবে মৃত্যুর পাহাড় বেয়ে চূড়ায় উঠবে রক্তিম জবা ফুল
তার শরীরে কি আজও বাতাসের গন্ধ মেখে বসে আছে
                রাতের কুসুম?
ঈশ্বরের বেগুনি ঠুঁটে চুমু খাওয়ার বদলে সে তাই বসে আছে
আর এক পৃথিবীর যৌন তৃষ্ণা মেটাতে

ছুটি পেলেই বাড়ি যাবে

Read More

0 মন্তব্য(গুলি):

গতকাল থেকে বয়ে বেড়াচ্ছি লাশের পুতুল; গতকাল তেমন কোনও দিন ছিলো না, একটু বৃষ্টি ছিলো কেবল। ছেলেবেলায় পুতুলের মৃত্যু হবে ভাবতে গিয়ে শত্রু হয়ে গিয়েছিলো সে, তবুও তার জানাছিলোনা সে ডাকলেই মরে যায় আমার বেলফুলের বাগান- দুপুর বেলা একটু ঘুমিয়েছিলাম- জেগে দেখি আমার গায়ে মাছের স্বভাব জেগেছে; পাশ থেকে কে জানি বলে ওঠলো, শহরে নাকি মাছের আকাল? আমার গায়ে মাছের ভূমি- তোমার কাছে যদি জলাধার থাকে তবে একটু ধার দিও তো সাঁতার দিবো

সে তবু কথা বলে না, রাত হলেই চারিদিকে আঁধারের সাগর নেমে আসে, আমি ডুবলেও গা ভেজে না; তুমি কি আমার মুখ ভুলে গেছো?

মাছের জীবন

at সোমবার, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১২  |  No comments

গতকাল থেকে বয়ে বেড়াচ্ছি লাশের পুতুল; গতকাল তেমন কোনও দিন ছিলো না, একটু বৃষ্টি ছিলো কেবল। ছেলেবেলায় পুতুলের মৃত্যু হবে ভাবতে গিয়ে শত্রু হয়ে গিয়েছিলো সে, তবুও তার জানাছিলোনা সে ডাকলেই মরে যায় আমার বেলফুলের বাগান- দুপুর বেলা একটু ঘুমিয়েছিলাম- জেগে দেখি আমার গায়ে মাছের স্বভাব জেগেছে; পাশ থেকে কে জানি বলে ওঠলো, শহরে নাকি মাছের আকাল? আমার গায়ে মাছের ভূমি- তোমার কাছে যদি জলাধার থাকে তবে একটু ধার দিও তো সাঁতার দিবো

সে তবু কথা বলে না, রাত হলেই চারিদিকে আঁধারের সাগর নেমে আসে, আমি ডুবলেও গা ভেজে না; তুমি কি আমার মুখ ভুলে গেছো?

Read More

0 মন্তব্য(গুলি):

শুক্রবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১২


ধরে নাও এ আমার গোপন গিটার মাঝে মাঝে সুর না তুললে জং ধরে সুতায় আমি তাই মাঝে মাঝে একাকিত্বের সুর তুলি মধ্যরাতে সেই সুরে মাতাল করে অন্ধকার ডুবতে থাকি দেখি আমি আর আঁধার পরস্পর সমান শত্রু তোমার
 
এক একটি রাত এক একটি স্বপ্নের গল্প নিয়ে বসে থাকে তোমার জন্য, তুমি তো নও মোহিনীর বন্ধু, নও কোনও বৃত্তবন্দী রাজকণ্যা; যা ভাবতে ভাবতে তোমার বয়স পেরিয়ে যাচ্ছে

অথচ রোজ তোমার জানালায় এসে ডাক দেয় কাশবন, বাইরে জোছনার বন্ধু তার যৌবনের গল্প বলতে থাকে- বাতাসের ঘ্রাণে দুলতে থাকে তোমার শরীর; সবুজ জলপাই বনে ঢেউ খেলা জোছনা বাড়ির পাশের কাশবন হয়ে ঢুকে যায় তোমার গোপন শৈশবে; এইবার বুঝি কাশবন আমাকে চিঠি লিখবে।

কাশবনের চিঠি

at শুক্রবার, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১২  |  2 comments


ধরে নাও এ আমার গোপন গিটার মাঝে মাঝে সুর না তুললে জং ধরে সুতায় আমি তাই মাঝে মাঝে একাকিত্বের সুর তুলি মধ্যরাতে সেই সুরে মাতাল করে অন্ধকার ডুবতে থাকি দেখি আমি আর আঁধার পরস্পর সমান শত্রু তোমার
 
এক একটি রাত এক একটি স্বপ্নের গল্প নিয়ে বসে থাকে তোমার জন্য, তুমি তো নও মোহিনীর বন্ধু, নও কোনও বৃত্তবন্দী রাজকণ্যা; যা ভাবতে ভাবতে তোমার বয়স পেরিয়ে যাচ্ছে

অথচ রোজ তোমার জানালায় এসে ডাক দেয় কাশবন, বাইরে জোছনার বন্ধু তার যৌবনের গল্প বলতে থাকে- বাতাসের ঘ্রাণে দুলতে থাকে তোমার শরীর; সবুজ জলপাই বনে ঢেউ খেলা জোছনা বাড়ির পাশের কাশবন হয়ে ঢুকে যায় তোমার গোপন শৈশবে; এইবার বুঝি কাশবন আমাকে চিঠি লিখবে।

Read More

2 মন্তব্য(গুলি):

বুধবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১২


শীতের রাতে আমরা সবে কাঁথামুরি দিয়ে বিছানায় পড়তে বসেছি। এই শীতে আমাদের পড়াশোনার ধার অনেকটা কমে যায়। শীতের অজুহাতে আমরা চেয়ার টেবিল ছেড়ে বিছানায় বসে বসে স্কুলের পড়া তৈরি করি। ফলে আমাদের মাঝে মাঝে চোখ নেবে আসে। আমরা ঘুমাতে ঘুমাতে পড়ি আর পড়তে পড়তে ঘুমাই। এমন সময় আমাদের নানুর কথা পরে। তিনি এইরকম শীতের রাতে আমাদের ভাই-বোনদের নিয়ে গল্পকরতে বসতেন।
আমরা গল্প শুনতে শুনতে ঘুমিয়ে যেতাম। নানু অনেকদিন আমাদের বাড়িতে আসেন না। নানুর একটা গল্প প্রায়ই মনে পড়ে আমার। নানু যেই দুই রাণীর গল্পটা বলতেন সেই টা। তিনি বলতেন- এক দেশে ছিলো দুই রাণী। কোনও রাজা ছিলো না। দুই রানী পালাকরে রাজ্য পরিচালনা করতো। সেই রাজ্যের মানুষগুলো ছিলো অনেক সুখি। তাদের তেমন কোনও প্রত্যাশা ছিলো না। আর তাই তারা যখন যা হাতের কাছে পেতো তাই নিয়ে সুখি থাকতো। এমনও মানুষছিলো সেই রাজ্যে যে, মানুষ দিনে একবেলা খেয়ে না খেয়ে দিন যাপন করতো। কিন্তু তারপরও সেইসব মানুষেরা রাজ্যের নীতিনির্ধারকদের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ দাখিল করতো না। আর রাজ্যের নীতি নির্ধারনী ব্যক্তিরাও রাষ্ট্র সেবায় ছিলো চরম উদাসিন। তারা শুধু নিজেদের কথাই ভাবতো। নিজেদের সম্পদের ভাণ্ডার বিশাল করার জন্যই কেবল তারা ভাবতো। এইভাবে এক একজনের সম্পদের পাহাড় বাড়তে বাড়তে বিশালাকার ধারণ করে। কিন্তু তারপরও জনগন তাদের কিচ্ছু বলতো না। তারাও কেবল নিজেদের কথা ভাবতো। ভাবতো আমার কোনওভাবে চলতে পারলেই হলো। কেউ অন্য কারও কথা ভাবতো না। এইভাবেই দিন চলছিলো। একদিন রাতে হঠাৎ করে সেই দুই রানী কিভাবে কিভাবে জানি নিজ নিজ বাড়িতে মরে গেলো। রাজ্যে তখন রাষ্ট্রশাসকের বড় অভাব! কে চালাবে রাষ্ট্র? জাতীর বিবেকের কাছে তখন এই প্রশ্ন। কেউ উত্তর দিতে পারে না। এমন পরিস্থিতিতে কে হবেন রাজা? এই প্রশ্ন করতো নানু। আমি তখন চিৎকার দিয়ে বলে উঠতাম- আমি!

হঠাৎ আমার বোধোদয় হয় আমি হঠাৎ ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। এতক্ষণ নানুর বলা গল্পটি আমি স্বপ্ন দেখছিলাম। আর ঘুম ভাঙার পর দেখি আপু আমার সামনে দাঁড়িয়ে আমাকে জিজ্ঞেস করছে ‘কিরে, কি করছিলি।’ আমি মুচকি হাসি দিলে সে আবার জিজ্ঞেস করে, ‘কি স্বপ্ন দেখছিলি?’ আমি বলি নানু যে প্রায়ই গল্পটা বলতো সেইটা। আপু আমাকে গল্পটি বলতে বলে। আমি বলতে চাই না। কিন্তু তার জোড়াজোড়িতে আমাকে বলতে হয়। গল্প শুরু করার আগেই আমি বলি- ‘গল্প বলতে পারবো, তবে এই গল্পের নাম কিন্তু জানিনা।’

এই গল্পের নাম কিন্তু জানিনা

at বুধবার, সেপ্টেম্বর ১২, ২০১২  |  1 comment


শীতের রাতে আমরা সবে কাঁথামুরি দিয়ে বিছানায় পড়তে বসেছি। এই শীতে আমাদের পড়াশোনার ধার অনেকটা কমে যায়। শীতের অজুহাতে আমরা চেয়ার টেবিল ছেড়ে বিছানায় বসে বসে স্কুলের পড়া তৈরি করি। ফলে আমাদের মাঝে মাঝে চোখ নেবে আসে। আমরা ঘুমাতে ঘুমাতে পড়ি আর পড়তে পড়তে ঘুমাই। এমন সময় আমাদের নানুর কথা পরে। তিনি এইরকম শীতের রাতে আমাদের ভাই-বোনদের নিয়ে গল্পকরতে বসতেন।
আমরা গল্প শুনতে শুনতে ঘুমিয়ে যেতাম। নানু অনেকদিন আমাদের বাড়িতে আসেন না। নানুর একটা গল্প প্রায়ই মনে পড়ে আমার। নানু যেই দুই রাণীর গল্পটা বলতেন সেই টা। তিনি বলতেন- এক দেশে ছিলো দুই রাণী। কোনও রাজা ছিলো না। দুই রানী পালাকরে রাজ্য পরিচালনা করতো। সেই রাজ্যের মানুষগুলো ছিলো অনেক সুখি। তাদের তেমন কোনও প্রত্যাশা ছিলো না। আর তাই তারা যখন যা হাতের কাছে পেতো তাই নিয়ে সুখি থাকতো। এমনও মানুষছিলো সেই রাজ্যে যে, মানুষ দিনে একবেলা খেয়ে না খেয়ে দিন যাপন করতো। কিন্তু তারপরও সেইসব মানুষেরা রাজ্যের নীতিনির্ধারকদের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ দাখিল করতো না। আর রাজ্যের নীতি নির্ধারনী ব্যক্তিরাও রাষ্ট্র সেবায় ছিলো চরম উদাসিন। তারা শুধু নিজেদের কথাই ভাবতো। নিজেদের সম্পদের ভাণ্ডার বিশাল করার জন্যই কেবল তারা ভাবতো। এইভাবে এক একজনের সম্পদের পাহাড় বাড়তে বাড়তে বিশালাকার ধারণ করে। কিন্তু তারপরও জনগন তাদের কিচ্ছু বলতো না। তারাও কেবল নিজেদের কথা ভাবতো। ভাবতো আমার কোনওভাবে চলতে পারলেই হলো। কেউ অন্য কারও কথা ভাবতো না। এইভাবেই দিন চলছিলো। একদিন রাতে হঠাৎ করে সেই দুই রানী কিভাবে কিভাবে জানি নিজ নিজ বাড়িতে মরে গেলো। রাজ্যে তখন রাষ্ট্রশাসকের বড় অভাব! কে চালাবে রাষ্ট্র? জাতীর বিবেকের কাছে তখন এই প্রশ্ন। কেউ উত্তর দিতে পারে না। এমন পরিস্থিতিতে কে হবেন রাজা? এই প্রশ্ন করতো নানু। আমি তখন চিৎকার দিয়ে বলে উঠতাম- আমি!

হঠাৎ আমার বোধোদয় হয় আমি হঠাৎ ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। এতক্ষণ নানুর বলা গল্পটি আমি স্বপ্ন দেখছিলাম। আর ঘুম ভাঙার পর দেখি আপু আমার সামনে দাঁড়িয়ে আমাকে জিজ্ঞেস করছে ‘কিরে, কি করছিলি।’ আমি মুচকি হাসি দিলে সে আবার জিজ্ঞেস করে, ‘কি স্বপ্ন দেখছিলি?’ আমি বলি নানু যে প্রায়ই গল্পটা বলতো সেইটা। আপু আমাকে গল্পটি বলতে বলে। আমি বলতে চাই না। কিন্তু তার জোড়াজোড়িতে আমাকে বলতে হয়। গল্প শুরু করার আগেই আমি বলি- ‘গল্প বলতে পারবো, তবে এই গল্পের নাম কিন্তু জানিনা।’

Read More

1 মন্তব্য(গুলি):

সে- আপনি কেমন আছেন?

আমি- আমি রান্না করতে হয় বলে ভালো নেই। অন্য সব দিক দিয়ে ভালো আছি।
সে- হা হা হা!!! এক কাজ করুন। বিয়ে করে ফেলুন।

আমি- আমাকে বিয়ে করবে কে? এমন পাগল পৃথিবীতে নাই। আমার অবশ্য তত ঝামেলাও নাই। ভাইয়া থাকলে সেই রান্না করে। ভাবি থাকলে তো আরও টেনশন ফ্রি।

সে- কেন? কেন? কেন বিয়ে করবে না?

আমি- আমার ধারণা আমি অন্য সবার মতো নই। মেয়েরা যেসব বিষয়/গুণ একটা ছেলের মাঝে চায় বা পছন্দ করে তা আমার মাঝে নেই। আর মেয়েদের কাছে আমি কখনোই নিজেকে এক্সপ্লোর করতে পারি না। যতটা পেরেছি বন্ধুদের (ছেলে ও মেয়ে উভয় প্রকারই বন্ধু) কাছে। একজন যদি আমাকে না জানে, তবে সে কি আমাকে চাইবে?

সে- হুম। তাহলে জেনে বুঝে তারপর চাইবে।

আমি -কারও বয়ে গেছে আমাকে জানার জন্য।

সে- হা হা হা। খোঁজ নিয়ে দেখুন, কারোর হয়ত বয়ে যেতেও পারে, আপনি জানেন না। সময় সব বলে দেবে।

আমি- এই সময়ের মেয়েরা (ব্যতিক্রম আছে, তবে তাকে পাচ্ছি না। যদিও খুঁজছি) নিজেদেরকে পণ্য মনে করে। মনে করে ভালো দাম যেখানে পাবে সেখানে নিজেকে বিনিয়োগ করবে। আমিতো পন্য কিনতে পারবো না। কারণ আমি ব্যবসায়ি নই। আমি মানুষ। আমি কেবল পারবো ভালোবাসতে। আর পারবো আস্থার প্রতিদান দিতে। তাই আমার জন্য কেউ নেই। তবে হ্যা, খুব বেশী দিন খুঁজবোও না কাউকে। সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছি। ৪০ বছরের বেশী বাঁচতে চাই না। এর ভেতর যদি মনে হয়, আমাকে পৃথিবীর প্রয়োজন তবে্ই এর বেশী বেঁচে থাকবো।

সে- হায়রে! ওমা! ও কি কথা? ৪০ পেরুলে কি করবেন? যদি মনে করেন যে, পৃথিবী আপনাকে চায় না?

আমি- ৪১ তম জন্মদিনে মরে যাবো।

সে- আপনার ইচ্ছা মত!!!??? জন্মমৃত্যু কি আপনার কথায়???? কি জানি?

আমি - আমি পৃথিবীটাকে আমার ভবিষ্যতের মানুষগুলোর জন্য একটা আবাস দিতে চাই। তাই মনে করি, যেই পৃথিবীতে আমার প্রয়োজন নেই। সেই পৃথিবীর সম্পদ আমি কেন নষ্ট করবো? তবে হ্যা, আমার চেষ্টা এখনো আছে, থাকবে পৃথিবীতে যেনো আমি আরও দীর্ঘ দিন থেকে থাকার মতো নিজেকে প্রয়োজনীয় করে তুলতে পারি।

সে - আচ্ছা, আমি বুঝেছি, আপনার দর্শন আমার পক্ষে বোঝা সম্ভব না। তাই, এই টপিক বাদ।

আমার নৈরাশ্যের পথচলা

at বুধবার, সেপ্টেম্বর ১২, ২০১২  |  No comments

সে- আপনি কেমন আছেন?

আমি- আমি রান্না করতে হয় বলে ভালো নেই। অন্য সব দিক দিয়ে ভালো আছি।
সে- হা হা হা!!! এক কাজ করুন। বিয়ে করে ফেলুন।

আমি- আমাকে বিয়ে করবে কে? এমন পাগল পৃথিবীতে নাই। আমার অবশ্য তত ঝামেলাও নাই। ভাইয়া থাকলে সেই রান্না করে। ভাবি থাকলে তো আরও টেনশন ফ্রি।

সে- কেন? কেন? কেন বিয়ে করবে না?

আমি- আমার ধারণা আমি অন্য সবার মতো নই। মেয়েরা যেসব বিষয়/গুণ একটা ছেলের মাঝে চায় বা পছন্দ করে তা আমার মাঝে নেই। আর মেয়েদের কাছে আমি কখনোই নিজেকে এক্সপ্লোর করতে পারি না। যতটা পেরেছি বন্ধুদের (ছেলে ও মেয়ে উভয় প্রকারই বন্ধু) কাছে। একজন যদি আমাকে না জানে, তবে সে কি আমাকে চাইবে?

সে- হুম। তাহলে জেনে বুঝে তারপর চাইবে।

আমি -কারও বয়ে গেছে আমাকে জানার জন্য।

সে- হা হা হা। খোঁজ নিয়ে দেখুন, কারোর হয়ত বয়ে যেতেও পারে, আপনি জানেন না। সময় সব বলে দেবে।

আমি- এই সময়ের মেয়েরা (ব্যতিক্রম আছে, তবে তাকে পাচ্ছি না। যদিও খুঁজছি) নিজেদেরকে পণ্য মনে করে। মনে করে ভালো দাম যেখানে পাবে সেখানে নিজেকে বিনিয়োগ করবে। আমিতো পন্য কিনতে পারবো না। কারণ আমি ব্যবসায়ি নই। আমি মানুষ। আমি কেবল পারবো ভালোবাসতে। আর পারবো আস্থার প্রতিদান দিতে। তাই আমার জন্য কেউ নেই। তবে হ্যা, খুব বেশী দিন খুঁজবোও না কাউকে। সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছি। ৪০ বছরের বেশী বাঁচতে চাই না। এর ভেতর যদি মনে হয়, আমাকে পৃথিবীর প্রয়োজন তবে্ই এর বেশী বেঁচে থাকবো।

সে- হায়রে! ওমা! ও কি কথা? ৪০ পেরুলে কি করবেন? যদি মনে করেন যে, পৃথিবী আপনাকে চায় না?

আমি- ৪১ তম জন্মদিনে মরে যাবো।

সে- আপনার ইচ্ছা মত!!!??? জন্মমৃত্যু কি আপনার কথায়???? কি জানি?

আমি - আমি পৃথিবীটাকে আমার ভবিষ্যতের মানুষগুলোর জন্য একটা আবাস দিতে চাই। তাই মনে করি, যেই পৃথিবীতে আমার প্রয়োজন নেই। সেই পৃথিবীর সম্পদ আমি কেন নষ্ট করবো? তবে হ্যা, আমার চেষ্টা এখনো আছে, থাকবে পৃথিবীতে যেনো আমি আরও দীর্ঘ দিন থেকে থাকার মতো নিজেকে প্রয়োজনীয় করে তুলতে পারি।

সে - আচ্ছা, আমি বুঝেছি, আপনার দর্শন আমার পক্ষে বোঝা সম্ভব না। তাই, এই টপিক বাদ।

Read More

0 মন্তব্য(গুলি):

রবিবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০১২

গতকাল থেকে বয়ে বেড়াচ্ছি লাশের পুতুল; গতকাল তেমন কোনও দিন ছিলো না, একটু বৃষ্টি ছিলো কেবল। ছেলেবেলায় পুতুলের মৃত্যু হবে ভাবতে গিয়ে শত্রু হয়ে গিয়েছিলো সে, তবুও তার জানাছিলোনা সে ডাকলেই মরে যায় আমার বেলফুলের বাগান- দুপুর বেলা একটু ঘুমিয়েছিলাম- জেগে দেখি আমার গায়ে মাছের স্বভাব জেগেছে; পাশ থেকে কে জানি বলে ওঠলো, শহরে নাকি মাছের আকাল? আমার গায়ে মাছের ভূমি- তোমার কাছে যদি জলাধার থাকে তবে একটু ধার দিও তো সাঁতার দিবো

সে তবু কথা বলে না, রাত হলেই চারিদিকে আঁধারের সাগর নেমে আসে, আমি ডুবলেও গা ভেজে না; তুমি কি আমার মুখ ভুলে গেছো?

মাছের জীবন

at রবিবার, সেপ্টেম্বর ০৯, ২০১২  |  No comments

গতকাল থেকে বয়ে বেড়াচ্ছি লাশের পুতুল; গতকাল তেমন কোনও দিন ছিলো না, একটু বৃষ্টি ছিলো কেবল। ছেলেবেলায় পুতুলের মৃত্যু হবে ভাবতে গিয়ে শত্রু হয়ে গিয়েছিলো সে, তবুও তার জানাছিলোনা সে ডাকলেই মরে যায় আমার বেলফুলের বাগান- দুপুর বেলা একটু ঘুমিয়েছিলাম- জেগে দেখি আমার গায়ে মাছের স্বভাব জেগেছে; পাশ থেকে কে জানি বলে ওঠলো, শহরে নাকি মাছের আকাল? আমার গায়ে মাছের ভূমি- তোমার কাছে যদি জলাধার থাকে তবে একটু ধার দিও তো সাঁতার দিবো

সে তবু কথা বলে না, রাত হলেই চারিদিকে আঁধারের সাগর নেমে আসে, আমি ডুবলেও গা ভেজে না; তুমি কি আমার মুখ ভুলে গেছো?

Read More

0 মন্তব্য(গুলি):

সেই উদ্ধত ছুরির কথা বলে যাবো আজ
যে আমার আত্মপ্রতিকৃতির খুনি।

দিনে দিনে দুধ কলার পরিবর্তে তাই সে
                   নিজের মৃত্যুর দিন গুনেছে
আরো যে পথের গল্প সে আমায় বলে ছিলো
সেই গল্পের পাখি এবার গান শুনিয়েছে মিষ্টি

রাত বাড়তে থাকলে বেড়ে যায় সুরের আশ্রয়
অথচ প্রতিদিন ছুরি হাতে তার জন্য
দাঁড়িয়ে থাকে রূপকথার শহর, জড়িয়ে থাকে
বিকৃত জীবনের কথাকার

পাহাড়ের আড়ালে সেই রাতের মতো
প্রতিদিন তার জন্য খুনের উৎসব জমে
জমে উঠে সুরার টেবিলে আগুনের উৎসব
আর মধ্যরাতের স্যাম্পেনে ডুবে যায় তার ছুঁড়ির যৌবন

প্রিয় খুনের গল্প

at রবিবার, সেপ্টেম্বর ০৯, ২০১২  |  No comments

সেই উদ্ধত ছুরির কথা বলে যাবো আজ
যে আমার আত্মপ্রতিকৃতির খুনি।

দিনে দিনে দুধ কলার পরিবর্তে তাই সে
                   নিজের মৃত্যুর দিন গুনেছে
আরো যে পথের গল্প সে আমায় বলে ছিলো
সেই গল্পের পাখি এবার গান শুনিয়েছে মিষ্টি

রাত বাড়তে থাকলে বেড়ে যায় সুরের আশ্রয়
অথচ প্রতিদিন ছুরি হাতে তার জন্য
দাঁড়িয়ে থাকে রূপকথার শহর, জড়িয়ে থাকে
বিকৃত জীবনের কথাকার

পাহাড়ের আড়ালে সেই রাতের মতো
প্রতিদিন তার জন্য খুনের উৎসব জমে
জমে উঠে সুরার টেবিলে আগুনের উৎসব
আর মধ্যরাতের স্যাম্পেনে ডুবে যায় তার ছুঁড়ির যৌবন

Read More

0 মন্তব্য(গুলি):

আমিতো নই পূর্ব পুরুষের মৃত্যু সমন-
হাতের রেখা মুছে স্টেশনের পাগলির মতো
প্রতিদিন তাই নতুন জন্মের কথা বলি

তুমি কি পাখির বন্ধু? নাকি ছিলে
ফুল বাগানের মালি?
আমি কেউ না, ঘুমের ওষুধ খাওয়া যুবকের
অনিদ্রাকাল কেবল
জানো পাখিদের বংশ পরম্পরায়
আমার নাম লেখা আছে-
তবুও আমি ভুলে যাই নিজের নাম
শুধু মনে পরে পূর্ব পুরুষ
এক সময় পাখিদের রাজা ছিলো

আমাকে ফুলবাগানের মালি হতে বলেছিলো
                              এক জাদুকর
আমি হতে চেয়েছিলাম রাজহাসের ডানা

পূর্ব পুরুষের কথা ভেবে আমার কিছুই হওয়া হলো না
আমি শুধু তাদের মৃত্যু মুখোশ হয়েছি

মৃত্যু মুখোশ

at রবিবার, সেপ্টেম্বর ০৯, ২০১২  |  No comments

আমিতো নই পূর্ব পুরুষের মৃত্যু সমন-
হাতের রেখা মুছে স্টেশনের পাগলির মতো
প্রতিদিন তাই নতুন জন্মের কথা বলি

তুমি কি পাখির বন্ধু? নাকি ছিলে
ফুল বাগানের মালি?
আমি কেউ না, ঘুমের ওষুধ খাওয়া যুবকের
অনিদ্রাকাল কেবল
জানো পাখিদের বংশ পরম্পরায়
আমার নাম লেখা আছে-
তবুও আমি ভুলে যাই নিজের নাম
শুধু মনে পরে পূর্ব পুরুষ
এক সময় পাখিদের রাজা ছিলো

আমাকে ফুলবাগানের মালি হতে বলেছিলো
                              এক জাদুকর
আমি হতে চেয়েছিলাম রাজহাসের ডানা

পূর্ব পুরুষের কথা ভেবে আমার কিছুই হওয়া হলো না
আমি শুধু তাদের মৃত্যু মুখোশ হয়েছি

Read More

0 মন্তব্য(গুলি):

মুঠোভর্তি সোনার আলো ছড়িয়েছি ভাতের থালায়
তোমার গোলায় আজ তাই বাতাবি নেবুর ঘ্রাণ

আর দুই বেলা ভাতের মৌসুমে বয়ে যাওয়া বাতাস
আমাদের গায়ে লাগেনি
তার কাছে মিঠেকড়া গল্প শুনতে গিয়ে আমরা তাই
ভুলে আছি নিজেদের পরিচয়

এবার বোধহয় তাই মুছে গেছে পাপ পূণ্যের হিসাব
ভাতের ইতিহাসে সে এক অনুজ্জ্বল অধ্যায়

        : তুমি তার নাম ঠিকানা লিখে রাখো-
          আমি মৃত্যু পরোয়ানা পৌঁছে দিবো

ভাতের ভবিষ্যৎ

at রবিবার, সেপ্টেম্বর ০৯, ২০১২  |  No comments

মুঠোভর্তি সোনার আলো ছড়িয়েছি ভাতের থালায়
তোমার গোলায় আজ তাই বাতাবি নেবুর ঘ্রাণ

আর দুই বেলা ভাতের মৌসুমে বয়ে যাওয়া বাতাস
আমাদের গায়ে লাগেনি
তার কাছে মিঠেকড়া গল্প শুনতে গিয়ে আমরা তাই
ভুলে আছি নিজেদের পরিচয়

এবার বোধহয় তাই মুছে গেছে পাপ পূণ্যের হিসাব
ভাতের ইতিহাসে সে এক অনুজ্জ্বল অধ্যায়

        : তুমি তার নাম ঠিকানা লিখে রাখো-
          আমি মৃত্যু পরোয়ানা পৌঁছে দিবো

Read More

0 মন্তব্য(গুলি):

আর ডাকবোনা তিলোত্তমার আয়নাকে
সে জানে আমার গোপন গোলার খবর
তার পাটিতলে আছে আমার ধর্মগ্রন্থ
সে তাই আমার ঈশ্বরের পিতা
এইবার তাকে খুন করতে নিজেই ছুড়ি হবো
আমার ধারে কেটে যাবে তার রক্তাক্ত জিভ

আহ!

at রবিবার, সেপ্টেম্বর ০৯, ২০১২  |  No comments

আর ডাকবোনা তিলোত্তমার আয়নাকে
সে জানে আমার গোপন গোলার খবর
তার পাটিতলে আছে আমার ধর্মগ্রন্থ
সে তাই আমার ঈশ্বরের পিতা
এইবার তাকে খুন করতে নিজেই ছুড়ি হবো
আমার ধারে কেটে যাবে তার রক্তাক্ত জিভ

Read More

0 মন্তব্য(গুলি):

এই সাইটের যে কোনও লেখা যে কেউ অনলাইনে ব্যবহার করতে পারবে। তবে লেখকের নাম ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক।

Blogger template Proudly Powered by Blogger. Arranged By: এতক্ষণে অরিন্দম