মঙ্গলবার, ১৭ জানুয়ারী, ২০১২


আমি আসলে কেউ না, একটা পাখি মাত্র। হয়তো ঘাস ফড়িং হতে পারতাম, হতে পারতাম একটা ঘুড়ি। অথবা হতে পারতাম জলে তোলা মৃত্যু প্রতীক্ষিত ইলিশ। মাত্র তো কয়েক মুহূর্ত। তার পরেই মৃত্যু। এমন হলে বোধ হয় ভালোই হতো। নয়তো কি? পাখি হয়েই বা কি হয়েছি। নিজের নামই জানি না। তারচেয়ে ভালো হতো যদি ইলিশ-ই হতাম। কি হতো তবে? আমি চলে যেতে পারতাম এই আশ্রয়ের মায়া ছেড়ে। অন্য নতুন কোনও আ্শ্রয়ে। অথবা জেলের জালে ধরা পড়লেও তার হাসিমাখা মুখ দেখে ভুলে যেতাম তার ও আমার কথা। তারচে’ বরং গান করি-
আমরা তো অল্পে সুখি, কি হবে দুঃখ করে।
আমাদের দিন কেটে যায়, সাধারণ ভাত কাপড়ে।
ইলিশ হইনি তো কি, পাখি তো হয়েছি। তবে ডানাহীন পাখি আর কি। তবে কি নাম নেয়া যায় আমার বলো তো? যেহেতু আমার পাখিদের মতো ডানা নেই তারপরও আমি উড়তে পারি। তবুও কিন্তু আমি ঠিক পাখি প্রজাতির নই। কিন্তু আমার তো পাখির মতোই দুটো পা, এক জোড়া ঠোঁট, এক জোড়া চোখ আছে। আছে প্রকৃতই উড়ার মতো একটা মন। আসলে সমস্যা ঐ মনটাই। মনটাই তো পাখির মতো। আসলে মধ্যবিত্ত মন। বাহ্্ নাম তো হয়ে গেলো, মধ্যবিত্ত পাখি! নামটা সুন্দর না? আমার কিন্তু বেশ লেগেছে। এই নামের কথা ভাবতে ভাবতে আগামী কয়েকদিন সুথে কাটানো যাবে। যাবে মনের ডানায় ভর করে কিছুদিন অস্থির পায়চারি করা। তারপর? তারপর আবার সেই মধ্যবিত্ত পাখি নেমে আসবে মধ্যমিত্ত মনে। মানে শেষ পর্যন্ত পাখি ও প্রজাপতির ডানা হারিয়ে সে নেমে আসবে রাস্তায়।
কি আর করা। নিজেকে টিকিয়ে তো রাখতে হবে, চাল ডাল আর তেলের দাম বৃদ্ধিতে দিনকে দিন আমাদের পাছা আরও তৈলাক্ত হচ্ছে, ভাগ্যিস সেখানকার তেল রপ্তানি করা যায় না। নইলে কবেই আমেরিকা আইসা আক্রমন করতো! হি হি হি, আমরা আসলে মধ্যবিত্ত পাখি। পাখিদের যেমন লজ্জা নেই, তেমন আমাদেরও লজ্জা নেই। আমাদের লজ্জা নিবারণের জন্য কোনও কাপড় প্রয়োজন পড়ে না। আমরা ভুলে যাই আমাদের পূর্ব পুরুষেরা নিজেদের জন্য নয় আমাদের জন্যই দিয়েছিলো জীবন। আমরা আসলে মনে রাখি আমরা কিছু পারি না। আমরা এটা মনে রাখতে পারি না, আমরা কিছু করি না। হায় রে, কত আর প্যাঁচাল পারবো নিজে নিজে।
ভাই বন্ধুগন, দেখেন তো এত এত প্যাঁচাল পারতে গিয়া আমি আমার মলম বিক্রির কথা ভুলেই গেছি কখন। অথচ যতই নায়িকা শাবনূর আর মৌসুমীর লগে কারিনা ক্যাটরিনার চেহারা দেখাই পেটে কিছুই যাইবো না। আসলে এইভাবেই তো আমাদের দিন যায়, তাই অভ্যস্ত হয়ে গেছি। অথচ গতকাল রাতে আমার লাল বন্ধু ফোন করে কিনা বলে- দোস্ত, বর্ষাকালে নিলিগিরি গেলে নাকি মেঘ ছুয়া যায়। নিজের দেশের এই সম্পদ কি অবহেলায় পার করে দেয়া উচিৎ? আমার তখন রক্ত টগবগ করে উঠে। বলি, কখনোই না।
-তাইলে চল, সামনের বৃহস্পতিবার রাতেই রওনা দেই। উত্তর করি চল। কিন্তু কেমনে? গাজার নৌকা পাহাড় দিয়া যায় ...। আমাদের ঘরিতে টান দিয়ে রেখেছে সেই নির্লজ্জ পাখি। শুক্রবার সকালে তাই ঘুম থেকে উঠে ফোন লাগাই দোস্ত রে। কিরে কাইল রাইতে না রওনা দেয়ার কথা তোর আর আমার? দোস্ত কয়- অমুকরে ছাড়া কেমনে যাই? সে তো আবার সময় করতে পারতেছে না। আমি কই, আমাগোর জীবনের সময় আর সময়ের জীবনে আমরা এই হিসেব মেলাইতে গিয়া জীবন পার হয়া যাইবো দোস্ত হিসেব মিলবো না।
হিসেবের খাতার কি দোষ? আমাদের মধ্যবিত্ত পাখি মন, কেবলই উড়ে বেহিসাবি। উড়তে চাইলে মেলে দেয় ডানা। অথচ জেনে এসেছি একই বৃত্তে বাঁধা আমাদের প্রবাহমান জীবন ও রাজনৈতিক বাস্তবতা। কি’ইবা বলার আছে এই ঘুরি স্বভাবকে? কেই বা বাধবে এই ডানাহিন পাখিকে। সড়কের কালো স্রোতে স্রোতে বয়ে চলে এই উড়া। মনের ডানায় বসত করে নিজেরই অপরিচিত আয়না। সামনে থাকা মানুষগুলোর মুখ দেখি কেবল, ভাবি নিজের মুখও কত বিশ্রি। আত্ম প্রবঞ্ছনায় এর চেয়ে স্বস্তির চকলেট আর পাই না। দেখি কেবল ছেলে ভোলানো ছড়া নিজেকেই শোনাই নিজেরা। এভাবেই রুটিনে বেধে রেখেছি নিজেদের। আস্ত এক মধ্যবিত্ত খাচায়, ভোলামন মধ্যবিত্ত পাখি।

মধ্যবিত্ত পাখি

at মঙ্গলবার, জানুয়ারী ১৭, ২০১২  |  No comments


আমি আসলে কেউ না, একটা পাখি মাত্র। হয়তো ঘাস ফড়িং হতে পারতাম, হতে পারতাম একটা ঘুড়ি। অথবা হতে পারতাম জলে তোলা মৃত্যু প্রতীক্ষিত ইলিশ। মাত্র তো কয়েক মুহূর্ত। তার পরেই মৃত্যু। এমন হলে বোধ হয় ভালোই হতো। নয়তো কি? পাখি হয়েই বা কি হয়েছি। নিজের নামই জানি না। তারচেয়ে ভালো হতো যদি ইলিশ-ই হতাম। কি হতো তবে? আমি চলে যেতে পারতাম এই আশ্রয়ের মায়া ছেড়ে। অন্য নতুন কোনও আ্শ্রয়ে। অথবা জেলের জালে ধরা পড়লেও তার হাসিমাখা মুখ দেখে ভুলে যেতাম তার ও আমার কথা। তারচে’ বরং গান করি-
আমরা তো অল্পে সুখি, কি হবে দুঃখ করে।
আমাদের দিন কেটে যায়, সাধারণ ভাত কাপড়ে।
ইলিশ হইনি তো কি, পাখি তো হয়েছি। তবে ডানাহীন পাখি আর কি। তবে কি নাম নেয়া যায় আমার বলো তো? যেহেতু আমার পাখিদের মতো ডানা নেই তারপরও আমি উড়তে পারি। তবুও কিন্তু আমি ঠিক পাখি প্রজাতির নই। কিন্তু আমার তো পাখির মতোই দুটো পা, এক জোড়া ঠোঁট, এক জোড়া চোখ আছে। আছে প্রকৃতই উড়ার মতো একটা মন। আসলে সমস্যা ঐ মনটাই। মনটাই তো পাখির মতো। আসলে মধ্যবিত্ত মন। বাহ্্ নাম তো হয়ে গেলো, মধ্যবিত্ত পাখি! নামটা সুন্দর না? আমার কিন্তু বেশ লেগেছে। এই নামের কথা ভাবতে ভাবতে আগামী কয়েকদিন সুথে কাটানো যাবে। যাবে মনের ডানায় ভর করে কিছুদিন অস্থির পায়চারি করা। তারপর? তারপর আবার সেই মধ্যবিত্ত পাখি নেমে আসবে মধ্যমিত্ত মনে। মানে শেষ পর্যন্ত পাখি ও প্রজাপতির ডানা হারিয়ে সে নেমে আসবে রাস্তায়।
কি আর করা। নিজেকে টিকিয়ে তো রাখতে হবে, চাল ডাল আর তেলের দাম বৃদ্ধিতে দিনকে দিন আমাদের পাছা আরও তৈলাক্ত হচ্ছে, ভাগ্যিস সেখানকার তেল রপ্তানি করা যায় না। নইলে কবেই আমেরিকা আইসা আক্রমন করতো! হি হি হি, আমরা আসলে মধ্যবিত্ত পাখি। পাখিদের যেমন লজ্জা নেই, তেমন আমাদেরও লজ্জা নেই। আমাদের লজ্জা নিবারণের জন্য কোনও কাপড় প্রয়োজন পড়ে না। আমরা ভুলে যাই আমাদের পূর্ব পুরুষেরা নিজেদের জন্য নয় আমাদের জন্যই দিয়েছিলো জীবন। আমরা আসলে মনে রাখি আমরা কিছু পারি না। আমরা এটা মনে রাখতে পারি না, আমরা কিছু করি না। হায় রে, কত আর প্যাঁচাল পারবো নিজে নিজে।
ভাই বন্ধুগন, দেখেন তো এত এত প্যাঁচাল পারতে গিয়া আমি আমার মলম বিক্রির কথা ভুলেই গেছি কখন। অথচ যতই নায়িকা শাবনূর আর মৌসুমীর লগে কারিনা ক্যাটরিনার চেহারা দেখাই পেটে কিছুই যাইবো না। আসলে এইভাবেই তো আমাদের দিন যায়, তাই অভ্যস্ত হয়ে গেছি। অথচ গতকাল রাতে আমার লাল বন্ধু ফোন করে কিনা বলে- দোস্ত, বর্ষাকালে নিলিগিরি গেলে নাকি মেঘ ছুয়া যায়। নিজের দেশের এই সম্পদ কি অবহেলায় পার করে দেয়া উচিৎ? আমার তখন রক্ত টগবগ করে উঠে। বলি, কখনোই না।
-তাইলে চল, সামনের বৃহস্পতিবার রাতেই রওনা দেই। উত্তর করি চল। কিন্তু কেমনে? গাজার নৌকা পাহাড় দিয়া যায় ...। আমাদের ঘরিতে টান দিয়ে রেখেছে সেই নির্লজ্জ পাখি। শুক্রবার সকালে তাই ঘুম থেকে উঠে ফোন লাগাই দোস্ত রে। কিরে কাইল রাইতে না রওনা দেয়ার কথা তোর আর আমার? দোস্ত কয়- অমুকরে ছাড়া কেমনে যাই? সে তো আবার সময় করতে পারতেছে না। আমি কই, আমাগোর জীবনের সময় আর সময়ের জীবনে আমরা এই হিসেব মেলাইতে গিয়া জীবন পার হয়া যাইবো দোস্ত হিসেব মিলবো না।
হিসেবের খাতার কি দোষ? আমাদের মধ্যবিত্ত পাখি মন, কেবলই উড়ে বেহিসাবি। উড়তে চাইলে মেলে দেয় ডানা। অথচ জেনে এসেছি একই বৃত্তে বাঁধা আমাদের প্রবাহমান জীবন ও রাজনৈতিক বাস্তবতা। কি’ইবা বলার আছে এই ঘুরি স্বভাবকে? কেই বা বাধবে এই ডানাহিন পাখিকে। সড়কের কালো স্রোতে স্রোতে বয়ে চলে এই উড়া। মনের ডানায় বসত করে নিজেরই অপরিচিত আয়না। সামনে থাকা মানুষগুলোর মুখ দেখি কেবল, ভাবি নিজের মুখও কত বিশ্রি। আত্ম প্রবঞ্ছনায় এর চেয়ে স্বস্তির চকলেট আর পাই না। দেখি কেবল ছেলে ভোলানো ছড়া নিজেকেই শোনাই নিজেরা। এভাবেই রুটিনে বেধে রেখেছি নিজেদের। আস্ত এক মধ্যবিত্ত খাচায়, ভোলামন মধ্যবিত্ত পাখি।

Read More

0 মন্তব্য(গুলি):

সোমবার, ১৬ জানুয়ারী, ২০১২


  
লক্ষ্মী বউটিকে আমি আজ আর কোথাও দেখি না
আমাদের আকাশের নানা রংয়ে যেদিন রাঙানোর কথা ছিলো এক সোনালী পৃথিবী সেদিন আমরা পথ ভুলে গিয়েছিলামএই রকম গল্পের প্রোপট আমাদের অনেক ছিলোতবুও আমরা আমাদের গল্পের কোনও সীমানা বা স্বার্থকতা নির্মাণ করতে পারি নিআমরা তখন প্রকৃত অর্থে কবি হয়ে উঠিনি বা কবিতার জন্য আমরা ছিলাম নাআর যার ফলে ক্যাবল লিটলম্যাগের মত শক্তিশালী মাধ্যমকে আমরা কোনও সমরাস্ত্রে সাজাতে পারিনিবরংচ মাঝে মাঝে আমরা নিজেরাই নিজেদের মনে করেছি এক অসম যোদ্ধাআর সেই রণ সাজে সাঁজতে গিয়ে আমরা তালগোল পাকিয়ে ফেলেছিআর তাই লক্ষ্মী বউ এর মতো সম্পূর্ণ বউকে বা কবিতার জন্য কবিকে লিটলম্যাগের ছায়ায় পেয়েছি কমযাও এসেছে তাও মাত্র হাতে গোনাতবে প্রশ্ন আসতে পারে লক্ষ্মী বউ এখানে কি? লক্ষ্মী বউ এখানে কবিতার প্রতি উসর্গিত একটি চিন্তাযা একজন লিটলম্যাগের সম্পাদকের মাধ্যমেও আসতে পারে; আসতে পারে একজন কবিতা কর্মীর মাঝ দিয়েও

ছোট্ট ডানায় ধরি অপার আকাশ
এটি প্রথম জাতীয় লিটলম্যাগাজিন মেলার শ্লোগান ছিলএক কথায় বলতে পারি লিটলম্যাগের চারিত্রও তাইতো সেই ছোট্ট ডানা আর অপার আকাশটা কি? এগুলো তেমন কিছুই না আবার অনেক কিছুযেমন- অপার আকাশ বলতে সহজেই যে বিষয়টা আমাদের ভাবনায় উঁকি দেয় তা হলো একটা আকাশ- যার সীমা অসীমএই আকাশটা হচ্ছে আমাদের মননআর এই অসীমতাই হচ্ছে চিন্তার ব্যাপ্তিআর ছোট্ট ডানা বলতে বুঝি এই চিন্তার ব্যাপ্তি আর মননের উকর্ষতা প্রকাশের স্থানের আয়তন হলো ছোট্ট ডানাএইই তো লিটলম্যাগঅথচ আমরা আমাদের এই চিন্তা আর উকর্ষতা দেখানোর এই উর্বর ভূমিখানা চাষাবাদ না করে করছি টবে বাগানএই নির্দিষ্ট গন্ডি ভেঙে একটু বাইরে তাকাই নাÑ দেখি সেখানে কি রোদের ঝলক দেখা দেয় কি না?

অদ্ধুত আঁধার এক এসেছে পৃথিবীতে যারা অন্ধ সবচেয়ে বেশী আজ চোখে দেখে তারা
আমাদের সময়ের সবচেয়ে বেদনার বিষয় হচ্ছে মিডিয়া ভাবনাআমাদের কবিতাকর্মীরা তাই এই মিডিয়া নিয়েই ভাবিততবে এই মিডিয়ার জন্যই হয়তো অনেকে কবিতার কাগজ করেএবং অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই কাগজগুলো লিটলম্যাগ হয়ে উঠে নাতো কিভাবে এই পত্রিকাগুলো কাগজ আর লিটলম্যাগের মাঝে পার্থক্য তৈরি করবে? এই পার্থক্য তৈরি করবে কবিতার কাগজের চারিত্র বা ধর্ম দেখেসেই কাগজের চারিত্র বা ধর্ম হবে সএই সততা থাকবে পত্রিকার সম্পাদকের সম্পাদকীয় চরিত্রেএই সততা থাকবে কবিতার প্রতি কমিটম্যান্ট-এএই সততাকে পূঁজি নিয়েই একজন সম্পাদক বা একজন লিটলম্যাগকর্মী তার যাত্রা করবেসেটাই আশা করে থাকি আমি বা আরও অনেকেকিন্তু আমাদের গল্পগুলো এখানেই নিশ্চুপ হয়ে উঠছেআর তাই পত্রিকার সাহিত্য পাতায় নিজের নাম দেখার জন্য বা নিজেকে জাতীয় পর্যায়ের (ছোট বা বড়) কবি হওয়ার জন্য অনেকের পায়তারা অনেকটা স্থুল দেখায়আর সে প্রতিযোগিতায় নামতেই এখন একটা মোটামোটি রকমের সাহিত্যের কাগজ করে নিজেকে পরিচিত করতে চেষ্টা করেযার দ্বারা তারা তাদের পত্রিকাকে নিজেকে প্রকাশের বিশাল বিশাল মিডিয়া ভাবেআর তাই কিছুদিন পর তারাই হয়ে যায় অনেক কিছুর নির্ধারকআমি এইসব কাগজের সম্পাদককে স্বাভাবিক চোখে দেখিনাআর তাদের মানসিক দৌড়টাও তাই দেখার মত হয়তারা অনেক সময়ই যেই মানসিক দৌড়ে জিততে চায়দেখাতে চায় আমরা অনেক কিছু করে ফেলছি, আমাদের সাথে তোমরা (যারা প্রকৃত অর্থেই লিটলম্যাগকর্মী) পারবে নাতাদের থেকে আমাদের নিরাপদ দূরত্বে থাকা খুব বেশি জরুরীকারণ আমরা তো জানিই- খালি কলসি বাজে বেশি, ভড়া কলসি বাজে না

হবে না, হবে না কিছূ ... জেনে গেছি যুগলে হবে না; যৌথতায় আরো বেশি অসম্ভব হবেÑ যদি হয়, তবে একা একা
আমরা আমাদের গন্তব্য জানিএই গন্তব্যের জন্য বিপ্লবের ডাক দিলে হবে নাবিপ্লবে ঝাপিয়ে পড়ারও কিছু নেইনিজের যদি সেই পথে যাবার প্রস্তুতি থাকে তবে সঙ্গী সাথির চিন্তা করলে হবে নাআর তাই নামতে হবে একাআমাদের পূর্বপুরুষ রবীন্দ্রনাথ তো বলেই গেছেন যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে

আমাদের পকেট ভর্তি রোদ আমাদের হৃদয় ভর্তি আরও- আমাদের মত নেই কারও
আমরা একটি পথ নির্মাণের চেষ্টা করছি, যে পথ আগামীর কবিতা নির্মাণের পথসে পথ নির্মাণের জন্য আমরা এখন খুড়ছি মাটিসেই মাটি খোড়া হলে সেখানে ইটের টুকরো সুড়কির স্তর পড়বেতারপর রোলার- তারপর পিচ, আবার রোলার- তারপর লেন ডিভাইডার; তারপরন না সড়ক প্রস্তুত! তবেই না গন্তব্য পৌঁছাএবার না যে কারো জন্য উন্মুক্ত প্রতিযোগিতা নতুন গন্তব্যের জন্য নতুন করে গন্তব্য নির্ধারণ করে পুনরায় সড়ক তৈরির প্রস্তুতিপৃথিবীটা এই চক্রের ভেতর দিয়েই চলছে চলবে...এতে সব বাঁধা বিপত্তি তো আমরাই অতিক্রম করবো

* গদ্যের বিভিন্ন উপশিরোনামে ব্যবহৃত কবিতাগুলো যথাক্রমে আবুল হাসান এর রাজা যায় রাজা আসে কাব্যগ্রন্থের উচ্চারণগুলি শোকের, দ্বিতীয় জাতীয় লিটলম্যাগাজিন মেলার শ্লোগান, জীবনানন্দ দাশ এর অদ্ভুত আঁধার, রহমান হেনরীর সার্কাস মুখরিত গ্রামর উসর্গ কবিতা ও লেখকের নিজস্ব কবিতা থেকে দেয়া হয়েছে

আমাদের ডানায় রোদ্দুর খেলা করে

at সোমবার, জানুয়ারী ১৬, ২০১২  |  No comments


  
লক্ষ্মী বউটিকে আমি আজ আর কোথাও দেখি না
আমাদের আকাশের নানা রংয়ে যেদিন রাঙানোর কথা ছিলো এক সোনালী পৃথিবী সেদিন আমরা পথ ভুলে গিয়েছিলামএই রকম গল্পের প্রোপট আমাদের অনেক ছিলোতবুও আমরা আমাদের গল্পের কোনও সীমানা বা স্বার্থকতা নির্মাণ করতে পারি নিআমরা তখন প্রকৃত অর্থে কবি হয়ে উঠিনি বা কবিতার জন্য আমরা ছিলাম নাআর যার ফলে ক্যাবল লিটলম্যাগের মত শক্তিশালী মাধ্যমকে আমরা কোনও সমরাস্ত্রে সাজাতে পারিনিবরংচ মাঝে মাঝে আমরা নিজেরাই নিজেদের মনে করেছি এক অসম যোদ্ধাআর সেই রণ সাজে সাঁজতে গিয়ে আমরা তালগোল পাকিয়ে ফেলেছিআর তাই লক্ষ্মী বউ এর মতো সম্পূর্ণ বউকে বা কবিতার জন্য কবিকে লিটলম্যাগের ছায়ায় পেয়েছি কমযাও এসেছে তাও মাত্র হাতে গোনাতবে প্রশ্ন আসতে পারে লক্ষ্মী বউ এখানে কি? লক্ষ্মী বউ এখানে কবিতার প্রতি উসর্গিত একটি চিন্তাযা একজন লিটলম্যাগের সম্পাদকের মাধ্যমেও আসতে পারে; আসতে পারে একজন কবিতা কর্মীর মাঝ দিয়েও

ছোট্ট ডানায় ধরি অপার আকাশ
এটি প্রথম জাতীয় লিটলম্যাগাজিন মেলার শ্লোগান ছিলএক কথায় বলতে পারি লিটলম্যাগের চারিত্রও তাইতো সেই ছোট্ট ডানা আর অপার আকাশটা কি? এগুলো তেমন কিছুই না আবার অনেক কিছুযেমন- অপার আকাশ বলতে সহজেই যে বিষয়টা আমাদের ভাবনায় উঁকি দেয় তা হলো একটা আকাশ- যার সীমা অসীমএই আকাশটা হচ্ছে আমাদের মননআর এই অসীমতাই হচ্ছে চিন্তার ব্যাপ্তিআর ছোট্ট ডানা বলতে বুঝি এই চিন্তার ব্যাপ্তি আর মননের উকর্ষতা প্রকাশের স্থানের আয়তন হলো ছোট্ট ডানাএইই তো লিটলম্যাগঅথচ আমরা আমাদের এই চিন্তা আর উকর্ষতা দেখানোর এই উর্বর ভূমিখানা চাষাবাদ না করে করছি টবে বাগানএই নির্দিষ্ট গন্ডি ভেঙে একটু বাইরে তাকাই নাÑ দেখি সেখানে কি রোদের ঝলক দেখা দেয় কি না?

অদ্ধুত আঁধার এক এসেছে পৃথিবীতে যারা অন্ধ সবচেয়ে বেশী আজ চোখে দেখে তারা
আমাদের সময়ের সবচেয়ে বেদনার বিষয় হচ্ছে মিডিয়া ভাবনাআমাদের কবিতাকর্মীরা তাই এই মিডিয়া নিয়েই ভাবিততবে এই মিডিয়ার জন্যই হয়তো অনেকে কবিতার কাগজ করেএবং অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই কাগজগুলো লিটলম্যাগ হয়ে উঠে নাতো কিভাবে এই পত্রিকাগুলো কাগজ আর লিটলম্যাগের মাঝে পার্থক্য তৈরি করবে? এই পার্থক্য তৈরি করবে কবিতার কাগজের চারিত্র বা ধর্ম দেখেসেই কাগজের চারিত্র বা ধর্ম হবে সএই সততা থাকবে পত্রিকার সম্পাদকের সম্পাদকীয় চরিত্রেএই সততা থাকবে কবিতার প্রতি কমিটম্যান্ট-এএই সততাকে পূঁজি নিয়েই একজন সম্পাদক বা একজন লিটলম্যাগকর্মী তার যাত্রা করবেসেটাই আশা করে থাকি আমি বা আরও অনেকেকিন্তু আমাদের গল্পগুলো এখানেই নিশ্চুপ হয়ে উঠছেআর তাই পত্রিকার সাহিত্য পাতায় নিজের নাম দেখার জন্য বা নিজেকে জাতীয় পর্যায়ের (ছোট বা বড়) কবি হওয়ার জন্য অনেকের পায়তারা অনেকটা স্থুল দেখায়আর সে প্রতিযোগিতায় নামতেই এখন একটা মোটামোটি রকমের সাহিত্যের কাগজ করে নিজেকে পরিচিত করতে চেষ্টা করেযার দ্বারা তারা তাদের পত্রিকাকে নিজেকে প্রকাশের বিশাল বিশাল মিডিয়া ভাবেআর তাই কিছুদিন পর তারাই হয়ে যায় অনেক কিছুর নির্ধারকআমি এইসব কাগজের সম্পাদককে স্বাভাবিক চোখে দেখিনাআর তাদের মানসিক দৌড়টাও তাই দেখার মত হয়তারা অনেক সময়ই যেই মানসিক দৌড়ে জিততে চায়দেখাতে চায় আমরা অনেক কিছু করে ফেলছি, আমাদের সাথে তোমরা (যারা প্রকৃত অর্থেই লিটলম্যাগকর্মী) পারবে নাতাদের থেকে আমাদের নিরাপদ দূরত্বে থাকা খুব বেশি জরুরীকারণ আমরা তো জানিই- খালি কলসি বাজে বেশি, ভড়া কলসি বাজে না

হবে না, হবে না কিছূ ... জেনে গেছি যুগলে হবে না; যৌথতায় আরো বেশি অসম্ভব হবেÑ যদি হয়, তবে একা একা
আমরা আমাদের গন্তব্য জানিএই গন্তব্যের জন্য বিপ্লবের ডাক দিলে হবে নাবিপ্লবে ঝাপিয়ে পড়ারও কিছু নেইনিজের যদি সেই পথে যাবার প্রস্তুতি থাকে তবে সঙ্গী সাথির চিন্তা করলে হবে নাআর তাই নামতে হবে একাআমাদের পূর্বপুরুষ রবীন্দ্রনাথ তো বলেই গেছেন যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে

আমাদের পকেট ভর্তি রোদ আমাদের হৃদয় ভর্তি আরও- আমাদের মত নেই কারও
আমরা একটি পথ নির্মাণের চেষ্টা করছি, যে পথ আগামীর কবিতা নির্মাণের পথসে পথ নির্মাণের জন্য আমরা এখন খুড়ছি মাটিসেই মাটি খোড়া হলে সেখানে ইটের টুকরো সুড়কির স্তর পড়বেতারপর রোলার- তারপর পিচ, আবার রোলার- তারপর লেন ডিভাইডার; তারপরন না সড়ক প্রস্তুত! তবেই না গন্তব্য পৌঁছাএবার না যে কারো জন্য উন্মুক্ত প্রতিযোগিতা নতুন গন্তব্যের জন্য নতুন করে গন্তব্য নির্ধারণ করে পুনরায় সড়ক তৈরির প্রস্তুতিপৃথিবীটা এই চক্রের ভেতর দিয়েই চলছে চলবে...এতে সব বাঁধা বিপত্তি তো আমরাই অতিক্রম করবো

* গদ্যের বিভিন্ন উপশিরোনামে ব্যবহৃত কবিতাগুলো যথাক্রমে আবুল হাসান এর রাজা যায় রাজা আসে কাব্যগ্রন্থের উচ্চারণগুলি শোকের, দ্বিতীয় জাতীয় লিটলম্যাগাজিন মেলার শ্লোগান, জীবনানন্দ দাশ এর অদ্ভুত আঁধার, রহমান হেনরীর সার্কাস মুখরিত গ্রামর উসর্গ কবিতা ও লেখকের নিজস্ব কবিতা থেকে দেয়া হয়েছে

Read More

0 মন্তব্য(গুলি):

শনিবার, ৭ জানুয়ারী, ২০১২


সময় কি অস্থির বাতাস, নাকি ঘোড়া হয়ে ছুটে গেছে বাদাম বাগানে?
আমার পান্থশালায় জমে উঠা মেঘের বাসর
  এই শীতে ফুল হয়ে ফুটে

রাত বিরাতে সময়কে ডেকে তোলা কালসাপ
নিয়ত ছোবল দেয় পাথরের দেয়ালে

কি দরকার পৃথিবী?
তার চেয়ে মৃত্যু আসুক বন্ধু হয়ে
মরে গেলে বেঁচে যাবে স্বতন্ত্র ঈশ্বর

সে কোনও ছায়ার নাম নয়, নিজেই নিজের আরাধ্য বিন্দু
নিজের বেঁচে থাকার গল্প বলে জমিয়ে রাখে পুরুষত্ব

সাপখেলা ভুলে গিয়ে অবসরের গান শোনে তাই
কাঠবিড়ালী মন।

কাঠবিড়ালী মন

at শনিবার, জানুয়ারী ০৭, ২০১২  |  1 comment


সময় কি অস্থির বাতাস, নাকি ঘোড়া হয়ে ছুটে গেছে বাদাম বাগানে?
আমার পান্থশালায় জমে উঠা মেঘের বাসর
  এই শীতে ফুল হয়ে ফুটে

রাত বিরাতে সময়কে ডেকে তোলা কালসাপ
নিয়ত ছোবল দেয় পাথরের দেয়ালে

কি দরকার পৃথিবী?
তার চেয়ে মৃত্যু আসুক বন্ধু হয়ে
মরে গেলে বেঁচে যাবে স্বতন্ত্র ঈশ্বর

সে কোনও ছায়ার নাম নয়, নিজেই নিজের আরাধ্য বিন্দু
নিজের বেঁচে থাকার গল্প বলে জমিয়ে রাখে পুরুষত্ব

সাপখেলা ভুলে গিয়ে অবসরের গান শোনে তাই
কাঠবিড়ালী মন।

Read More

1 মন্তব্য(গুলি):

সোমবার, ২ জানুয়ারী, ২০১২


বাগানে লাগিয়েছি ধনে পাতার সবুজ গাছ
অথচ চায়ের কাপে করে বড় হচ্ছে পেয়ারার জুস!

পতাকা উড়িয়ে দিয়ে তাইতো একটাই কেবল মিথ্যাচার
আর ফাইলে আটকে রেখে নিনাদিত সময়ের ইতিহাসকে মুছে
আরো কত জন্মের গল্প এক করে এঁকেছি এই বৃত্তান্ত!
দেখো তবুও ঝুলে আছে মধ্যপথে
ঠিক যেনো নারীর কোমর- আলো ও মৃত্যুর পাশাপাশি
আমিই একে একে নিজেদের ছায়া অতিক্রম করার চেষ্টা করি-
সমুদ্র ও পাহাড় কেবল দাঁড়িয়ে থাকে পুরোনো অজুহাত নিয়ে
আর কোনও মৃত্যুর পূর্বে বিগত যৌবনা নারী তুমি
ফিরে এসো পুর্নবার, দেখো তোমার জন্য স্ফিত রক্তের বান
সেজে আছে জলরঙ মূর্চ্ছনায়!

ধনে পাতা গাছ প্রিয় বন্ধু
চায়ের কাপে তবে আমাদের জন্ম ও মৃত্যুর কথা ভুলে
পেয়ারা ও লেবুর বাগান যেনো মুঠো খুলে বসে থাকা
আকাশ ও ঘুড়ির মাঠ- প্রতিদিন তাই ফুটে থাকে রক্তজবা ফুল

ইলিয়াস কমল-এর কবিতা

at সোমবার, জানুয়ারী ০২, ২০১২  |  4 comments


বাগানে লাগিয়েছি ধনে পাতার সবুজ গাছ
অথচ চায়ের কাপে করে বড় হচ্ছে পেয়ারার জুস!

পতাকা উড়িয়ে দিয়ে তাইতো একটাই কেবল মিথ্যাচার
আর ফাইলে আটকে রেখে নিনাদিত সময়ের ইতিহাসকে মুছে
আরো কত জন্মের গল্প এক করে এঁকেছি এই বৃত্তান্ত!
দেখো তবুও ঝুলে আছে মধ্যপথে
ঠিক যেনো নারীর কোমর- আলো ও মৃত্যুর পাশাপাশি
আমিই একে একে নিজেদের ছায়া অতিক্রম করার চেষ্টা করি-
সমুদ্র ও পাহাড় কেবল দাঁড়িয়ে থাকে পুরোনো অজুহাত নিয়ে
আর কোনও মৃত্যুর পূর্বে বিগত যৌবনা নারী তুমি
ফিরে এসো পুর্নবার, দেখো তোমার জন্য স্ফিত রক্তের বান
সেজে আছে জলরঙ মূর্চ্ছনায়!

ধনে পাতা গাছ প্রিয় বন্ধু
চায়ের কাপে তবে আমাদের জন্ম ও মৃত্যুর কথা ভুলে
পেয়ারা ও লেবুর বাগান যেনো মুঠো খুলে বসে থাকা
আকাশ ও ঘুড়ির মাঠ- প্রতিদিন তাই ফুটে থাকে রক্তজবা ফুল

Read More

4 মন্তব্য(গুলি):

এই সাইটের যে কোনও লেখা যে কেউ অনলাইনে ব্যবহার করতে পারবে। তবে লেখকের নাম ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক।

Blogger template Proudly Powered by Blogger. Arranged By: এতক্ষণে অরিন্দম