বুধবার, ১৮ জুন, ২০১৪

আপনাকে যদি জিজ্ঞেস করা হয়, শাহরুখ খানের বয়স কত? আপনি হয়তো অনুমানে একটা তথ্য দিবেন। হয়তো তা সত্যও হয়ে যেতে পারে। কিন্তু আপনাকেই যদি আবার জিজ্ঞেস করা শাহরুখ কি তার স্বপ্নের বাইরের কোনও জীবনকে আজো পর্দায় রাঙিয়েছেন কি না তাহলে আপনি উত্তর দিতে গিয়ে বিব্রত হতে পারেন। আপনার বিব্রত হওয়াটা স্বাভাবিক। কারণ, বলিউডের এই বাদশাহ তার স্বপ্নের বাইরের কোনও জীবনকে সম্ভবত এখনো পর্দায় সাজাতে পারেন নি। আর এই মনে হওয়ার পেছনে একটি বড় কারণ হিসেবে দাঁড়ায় সেলিম আহমেদ পরিচালিত ছবি ‌আদম সন্তান আবু দেখার পর। ইংরেজিতে ছবিটির নাম Abu, Son of Adam । এই ছবি দেখার সাথে শাহরুখের কি সম্পর্ক তা আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে। আপনার কৌতুহল মিটিয়ে তারপর ছবির প্রসঙ্গে যাওয়া যাক। এই ছবিটি ভারতের অঙ্গ রাজ্য মালয়ালাম অঞ্চলের একটি ছবি। ভাষাও ঐ অঞ্চলের। তবে ছবির ভাষাটা আর ঐ অঞ্চলের নেই। ছবিটি হয়ে উঠেছে বিশ্বের মানবিক মানুষের এক চমৎকার অনুভূতির গল্প। আর এই কারণেই ভারতের সিনেমা মাফিয়া করণ জোহর চেয়েছিলেন ছবিটি হিন্দীতে পুনঃনির্মাণ করতে। কিন্তু হয়ে উঠেনি। তার প্রধান কারণ ঐ শাহরুখ খান। করণ চেয়েছিলেন এই ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্র আবুর চরিত্রে অভিনয় করুক শাহরুখ খান। এ কারণেই বোধ হয় ক্ষেপে গিয়ে কখনো হিন্দী ছবি বানাবেন না বলে রীতিমত ঘোষণা দিয়েছেন এই ছবির নির্মাতা সেলিম।
ছবির গল্প পুরোপুরি বলে দেয়া ছবির আলোচনা বা রিভিউ এর শর্ত না। তাই আমিও এই ছবির গল্প পুরোপুরি বলবো না। যেটুকু আমার বলা প্রয়োজন সেটুকুই বলবো। আমি যা বলতে চাই আমাদের ছবির যে কেন্দ্রীয় চরিত্র আবু, সে ঐ অঞ্চলের বলতে গেলে মেগাস্টারের মতো। উইকিপিডিয়ার মতো মুক্ত কোষে গেলেও তার সম্পর্কে যে তথ্য আপনি পাবেন তা রীতিমত আশ্চর্যজনক। কারণ, তিনি তার চুয়াল্লিশ বছর জীবনে প্রায় ২শ ৪১টির মতো ছবিতে অভিনয় করেছেন। তার ছবির সবই কিন্তু একই ধাচের নায়োকোচিত নয়। কিছুটা এক্সট্রা লুক নিয়ে একদমই খাঁটি অভিনেতার মেজাজে তিনি অভিনয় করেন। আর এ কারণেই সেলিম আহমেদ তাকে তার দ্বিগুণ বয়সেরও বেশী চরিত্রে কাস্ট করেছেন। ছবিতে তার অভিনয় এতই চমৎকার ছিলো যে, সে ঐ বছর ভারতের জাতীয় পুরস্কারও জিতে নেয়। তার অভিনয়ের মাঝ দিয়ে তিনি কি করতে চেয়েছেন? এই প্রশ্নের চেয়ে বেটার হয় ছবিতে তিনি কি করেছেন? আবু ও তার স্ত্রী একটা স্বপ্নের পেছনে ছুটেছেন। আর এই স্বপ্ন ধরার জন্য তিনি তার সাধ্যের মধ্যে সবটুকুই করেছেন। কিন্তু স্বপ্নটা তার বাস্তবে রূপ নেয় নি। কি সেই স্বপ্ন? তা জানতে হলে আপনাকে ছবিটা দেখতে হবে। ছবিতে আসলে আপনারই একটা স্বপ্নে সেও ধরতে চেয়েছেন। ধরতে গিয়ে তিনি মোটেও ক্লান্ত হন নি। তার কাছে ধরা পড়তে না পেরে ক্লান্ত হয়েছে স্বপ্নটিই। আসলে আমাদের তো স্বপ্নই থাকে। স্বপ্নগুলোই তো বাঁচিয়ে রাখে, তাকেও বাঁচিয়ে রেখেছে তার স্বপ্ন, আমাদের স্বপ্ন। কারণ আমরা জানি ছবি ফুরিয়ে যাবে কিন্তু স্বপ্নটা ফুরাবে না।
ছবিটার সবচেয়ে বড় আবেদন এর মানবিক আকাঙ্খা। এই আকাঙ্খার জের ধরেই ছবির গল্পটা এগোয়। আসতে থাকে স্বপ্ন পূরণের সংগ্রাম। পৃথিবীর প্রায় তাবৎ ক্লাসিক গল্পের সাথে এক ধরনের সংগ্রামের যে সম্পর্কটা আছে, এই ছবিতেও তার একটা বড় প্রভাব আছে। ভারতের ছবি বললেই আপনার চোখে যে চোখ ধাধানো ছবি, মারমার কাটকাট অ্যাকশন, নায়িকার আকর্ষণীয় শরীর প্রদর্শণ, একটু পর পর যে গানের বাহারি ছবির চেহারা ভেসে আসে এখানে তার অনেক কিছুই নেই বলে আপনি হয়তো হতাশ হবেন। আদতে আপনাকে হতাশ হবার জন্যে নয়, এই ছবির মূল সুর সম্ভবত আশাতেই। একটু আগেও তাই বলতে চেয়েছি আমি।
ছবির কথা বলতে গিয়ে আশার কথাটা আমি বারবার বলছি এর পেছনে আরো একটা কারণ আছে। আর তা হলো ছবির পেছনের গল্পটাও অনেকটা আশাব্যাঞ্জক। ছবির যে পরিচালক সেলিম আহমেদ, তিনি প্রথমে টেলিভিশনের নির্মাতা ছিলেন। টিভিতে কাজ করে করে টাকা সঞ্চয় করে নিজের ছবির প্রযোজনা নিজেই করেছেন। কারণ তিনি জানতেন ভারতে তার মতো মানবিক গল্পের ছবির জন্য ব্যবসায়ী প্রযোজকেরা টাকা ঢালবে না। আর কেন ঢালবে না এ গল্পতো শুরুতেই বলেই দিয়েছি। নির্মাতা যখন ছবির বাজেট যখন করতে যান তখন দেখেন যে ৩৫ এম.এম এ তার ছবি বানানো কঠিন। তো তিনি ঐ সময় খরচ কমানোর কথা চিন্তা করে ১৬ এম.এম এ ছবি স্যুট করতে চেয়েছিলেন। পরবর্তীতে ছবির চিত্রগ্রাহকের সাথে কথা বলে শেষ পর্যন্ত তিনি ছবিটি স্যুট করেছিলেন ডিজিটালে। যদিও ডিজিটালে সর্বোচ্চ প্রযুক্তিই তিনি ব্যবহার করেছেন, তার ফলও আমরা পর্দায় দেখি। কি অনুভূতিপ্রবণ ছবি উঠে আসে পর্দায়। যেনবা বাস্তব মানুষগুলোই চোখের সামনে ভেসে বেড়াচ্ছে। আরও মজার তথ্য হলো এই ছবি যেমন নির্মাতার প্রথম সিনেমা, তেমনি পর্দার পেছনে কাজ করা অধিকাংশেরই এই ছবি দিয়ে ডেব্যু। আর এর মাঝেও আর্ট ডিরেকশনে সেরা আঞ্চলিক পুরস্কারটাও ছবির শিল্প নির্দেশকের কাছেই গেছে। এইসব তথ্য আপনি ছবির উইকি থেকেই পাবেন। এর জন্য আমার কোনও কৃতিত্ব নেই। আমি শুধু বলতে চাই ছবিটি আপনি দেখুন।

সর্বোপরি আপনি যদি নাচ গানের জগতের বাইরের একটি ছবি দেখতে চান, আর মনে করছেন যে সিনেমার নামে দেয়া সময়টা আমি আমার অনুভূতির সাথে কাটাবো। কাটাবো মানবিক বোধ ও পরিপার্শ্বিকতার সাথে তবে আদামিন্তে মাকান আবু ‘Abu, Son of Adam’ একটি উত্তম ছবি। সিনেমা বিষয়ক বিনোদনের জগতে আপনাকে পূর্ণ বিনোদনই দিবে এই ১শ মিনিটের পূর্ণ দৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। জয় হোক সিনেমার।  

আবু, সন অব আদম : সিনেমাটিক বিনোদন ও অনুভূতির গল্প

at বুধবার, জুন ১৮, ২০১৪  |  No comments

আপনাকে যদি জিজ্ঞেস করা হয়, শাহরুখ খানের বয়স কত? আপনি হয়তো অনুমানে একটা তথ্য দিবেন। হয়তো তা সত্যও হয়ে যেতে পারে। কিন্তু আপনাকেই যদি আবার জিজ্ঞেস করা শাহরুখ কি তার স্বপ্নের বাইরের কোনও জীবনকে আজো পর্দায় রাঙিয়েছেন কি না তাহলে আপনি উত্তর দিতে গিয়ে বিব্রত হতে পারেন। আপনার বিব্রত হওয়াটা স্বাভাবিক। কারণ, বলিউডের এই বাদশাহ তার স্বপ্নের বাইরের কোনও জীবনকে সম্ভবত এখনো পর্দায় সাজাতে পারেন নি। আর এই মনে হওয়ার পেছনে একটি বড় কারণ হিসেবে দাঁড়ায় সেলিম আহমেদ পরিচালিত ছবি ‌আদম সন্তান আবু দেখার পর। ইংরেজিতে ছবিটির নাম Abu, Son of Adam । এই ছবি দেখার সাথে শাহরুখের কি সম্পর্ক তা আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে। আপনার কৌতুহল মিটিয়ে তারপর ছবির প্রসঙ্গে যাওয়া যাক। এই ছবিটি ভারতের অঙ্গ রাজ্য মালয়ালাম অঞ্চলের একটি ছবি। ভাষাও ঐ অঞ্চলের। তবে ছবির ভাষাটা আর ঐ অঞ্চলের নেই। ছবিটি হয়ে উঠেছে বিশ্বের মানবিক মানুষের এক চমৎকার অনুভূতির গল্প। আর এই কারণেই ভারতের সিনেমা মাফিয়া করণ জোহর চেয়েছিলেন ছবিটি হিন্দীতে পুনঃনির্মাণ করতে। কিন্তু হয়ে উঠেনি। তার প্রধান কারণ ঐ শাহরুখ খান। করণ চেয়েছিলেন এই ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্র আবুর চরিত্রে অভিনয় করুক শাহরুখ খান। এ কারণেই বোধ হয় ক্ষেপে গিয়ে কখনো হিন্দী ছবি বানাবেন না বলে রীতিমত ঘোষণা দিয়েছেন এই ছবির নির্মাতা সেলিম।
ছবির গল্প পুরোপুরি বলে দেয়া ছবির আলোচনা বা রিভিউ এর শর্ত না। তাই আমিও এই ছবির গল্প পুরোপুরি বলবো না। যেটুকু আমার বলা প্রয়োজন সেটুকুই বলবো। আমি যা বলতে চাই আমাদের ছবির যে কেন্দ্রীয় চরিত্র আবু, সে ঐ অঞ্চলের বলতে গেলে মেগাস্টারের মতো। উইকিপিডিয়ার মতো মুক্ত কোষে গেলেও তার সম্পর্কে যে তথ্য আপনি পাবেন তা রীতিমত আশ্চর্যজনক। কারণ, তিনি তার চুয়াল্লিশ বছর জীবনে প্রায় ২শ ৪১টির মতো ছবিতে অভিনয় করেছেন। তার ছবির সবই কিন্তু একই ধাচের নায়োকোচিত নয়। কিছুটা এক্সট্রা লুক নিয়ে একদমই খাঁটি অভিনেতার মেজাজে তিনি অভিনয় করেন। আর এ কারণেই সেলিম আহমেদ তাকে তার দ্বিগুণ বয়সেরও বেশী চরিত্রে কাস্ট করেছেন। ছবিতে তার অভিনয় এতই চমৎকার ছিলো যে, সে ঐ বছর ভারতের জাতীয় পুরস্কারও জিতে নেয়। তার অভিনয়ের মাঝ দিয়ে তিনি কি করতে চেয়েছেন? এই প্রশ্নের চেয়ে বেটার হয় ছবিতে তিনি কি করেছেন? আবু ও তার স্ত্রী একটা স্বপ্নের পেছনে ছুটেছেন। আর এই স্বপ্ন ধরার জন্য তিনি তার সাধ্যের মধ্যে সবটুকুই করেছেন। কিন্তু স্বপ্নটা তার বাস্তবে রূপ নেয় নি। কি সেই স্বপ্ন? তা জানতে হলে আপনাকে ছবিটা দেখতে হবে। ছবিতে আসলে আপনারই একটা স্বপ্নে সেও ধরতে চেয়েছেন। ধরতে গিয়ে তিনি মোটেও ক্লান্ত হন নি। তার কাছে ধরা পড়তে না পেরে ক্লান্ত হয়েছে স্বপ্নটিই। আসলে আমাদের তো স্বপ্নই থাকে। স্বপ্নগুলোই তো বাঁচিয়ে রাখে, তাকেও বাঁচিয়ে রেখেছে তার স্বপ্ন, আমাদের স্বপ্ন। কারণ আমরা জানি ছবি ফুরিয়ে যাবে কিন্তু স্বপ্নটা ফুরাবে না।
ছবিটার সবচেয়ে বড় আবেদন এর মানবিক আকাঙ্খা। এই আকাঙ্খার জের ধরেই ছবির গল্পটা এগোয়। আসতে থাকে স্বপ্ন পূরণের সংগ্রাম। পৃথিবীর প্রায় তাবৎ ক্লাসিক গল্পের সাথে এক ধরনের সংগ্রামের যে সম্পর্কটা আছে, এই ছবিতেও তার একটা বড় প্রভাব আছে। ভারতের ছবি বললেই আপনার চোখে যে চোখ ধাধানো ছবি, মারমার কাটকাট অ্যাকশন, নায়িকার আকর্ষণীয় শরীর প্রদর্শণ, একটু পর পর যে গানের বাহারি ছবির চেহারা ভেসে আসে এখানে তার অনেক কিছুই নেই বলে আপনি হয়তো হতাশ হবেন। আদতে আপনাকে হতাশ হবার জন্যে নয়, এই ছবির মূল সুর সম্ভবত আশাতেই। একটু আগেও তাই বলতে চেয়েছি আমি।
ছবির কথা বলতে গিয়ে আশার কথাটা আমি বারবার বলছি এর পেছনে আরো একটা কারণ আছে। আর তা হলো ছবির পেছনের গল্পটাও অনেকটা আশাব্যাঞ্জক। ছবির যে পরিচালক সেলিম আহমেদ, তিনি প্রথমে টেলিভিশনের নির্মাতা ছিলেন। টিভিতে কাজ করে করে টাকা সঞ্চয় করে নিজের ছবির প্রযোজনা নিজেই করেছেন। কারণ তিনি জানতেন ভারতে তার মতো মানবিক গল্পের ছবির জন্য ব্যবসায়ী প্রযোজকেরা টাকা ঢালবে না। আর কেন ঢালবে না এ গল্পতো শুরুতেই বলেই দিয়েছি। নির্মাতা যখন ছবির বাজেট যখন করতে যান তখন দেখেন যে ৩৫ এম.এম এ তার ছবি বানানো কঠিন। তো তিনি ঐ সময় খরচ কমানোর কথা চিন্তা করে ১৬ এম.এম এ ছবি স্যুট করতে চেয়েছিলেন। পরবর্তীতে ছবির চিত্রগ্রাহকের সাথে কথা বলে শেষ পর্যন্ত তিনি ছবিটি স্যুট করেছিলেন ডিজিটালে। যদিও ডিজিটালে সর্বোচ্চ প্রযুক্তিই তিনি ব্যবহার করেছেন, তার ফলও আমরা পর্দায় দেখি। কি অনুভূতিপ্রবণ ছবি উঠে আসে পর্দায়। যেনবা বাস্তব মানুষগুলোই চোখের সামনে ভেসে বেড়াচ্ছে। আরও মজার তথ্য হলো এই ছবি যেমন নির্মাতার প্রথম সিনেমা, তেমনি পর্দার পেছনে কাজ করা অধিকাংশেরই এই ছবি দিয়ে ডেব্যু। আর এর মাঝেও আর্ট ডিরেকশনে সেরা আঞ্চলিক পুরস্কারটাও ছবির শিল্প নির্দেশকের কাছেই গেছে। এইসব তথ্য আপনি ছবির উইকি থেকেই পাবেন। এর জন্য আমার কোনও কৃতিত্ব নেই। আমি শুধু বলতে চাই ছবিটি আপনি দেখুন।

সর্বোপরি আপনি যদি নাচ গানের জগতের বাইরের একটি ছবি দেখতে চান, আর মনে করছেন যে সিনেমার নামে দেয়া সময়টা আমি আমার অনুভূতির সাথে কাটাবো। কাটাবো মানবিক বোধ ও পরিপার্শ্বিকতার সাথে তবে আদামিন্তে মাকান আবু ‘Abu, Son of Adam’ একটি উত্তম ছবি। সিনেমা বিষয়ক বিনোদনের জগতে আপনাকে পূর্ণ বিনোদনই দিবে এই ১শ মিনিটের পূর্ণ দৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। জয় হোক সিনেমার।  

Read More

0 মন্তব্য(গুলি):

এই সাইটের যে কোনও লেখা যে কেউ অনলাইনে ব্যবহার করতে পারবে। তবে লেখকের নাম ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক।

Blogger template Proudly Powered by Blogger. Arranged By: এতক্ষণে অরিন্দম