রবিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১২


হঠাৎই ঘুম ভেঙে যাচ্ছে। নিয়মিত যে সময়ে ভাঙতো তারও আগেই। অথচ এরচে’ বেশি সময় আমার ঘুমানো স্বাভাবিক ছিলো। তবে কি এই ঘুম ভাঙাটা অস্বাভাবিক? তাইতো দেখছি। কিন্তু আমি তো স্বাভাবিক হওয়ার চেষ্টা করছি। তার মানে আমি সত্যিই অস্বাভাবিক।
গত রাতে স্বপ্ন দেখলাম একটা নিকষ কালো অন্ধকার রাতে একা কোনও রাস্তা দিয়ে হাটছি। হঠাৎ চোখে পড়লো এক ঝাক জোনাকি। মনটা আনন্দে দুলে উঠলো। কিন্তু হঠাৎই মনে হলো জোনাকি গুলো মরে যাচ্ছে। একটা একটা করে মৃত জোনাকি রাস্তার ধারে পড়ে আছে ঘাসের বিছানায়। অন্ধকারে চিতাবাঘের মতো জ্বলে উঠতে থাকলো সর্ষে ফুল। আমি কি ভুল দেখছিলাম স্বপ্নে? নাকি তা বাস্তবের কেদ মাখানো একটি বার্তা? বুঝতে পারছিনা।
একটা আপেল গাছ খুঁজছিলাম, যে আপেল আমাকে ভর শূন্য করে দেবে।


তোমার কাছে কি ভরশূন্য হওয়ার আপেল গাছ আছে?

at রবিবার, ফেব্রুয়ারী ১৯, ২০১২  |  No comments


হঠাৎই ঘুম ভেঙে যাচ্ছে। নিয়মিত যে সময়ে ভাঙতো তারও আগেই। অথচ এরচে’ বেশি সময় আমার ঘুমানো স্বাভাবিক ছিলো। তবে কি এই ঘুম ভাঙাটা অস্বাভাবিক? তাইতো দেখছি। কিন্তু আমি তো স্বাভাবিক হওয়ার চেষ্টা করছি। তার মানে আমি সত্যিই অস্বাভাবিক।
গত রাতে স্বপ্ন দেখলাম একটা নিকষ কালো অন্ধকার রাতে একা কোনও রাস্তা দিয়ে হাটছি। হঠাৎ চোখে পড়লো এক ঝাক জোনাকি। মনটা আনন্দে দুলে উঠলো। কিন্তু হঠাৎই মনে হলো জোনাকি গুলো মরে যাচ্ছে। একটা একটা করে মৃত জোনাকি রাস্তার ধারে পড়ে আছে ঘাসের বিছানায়। অন্ধকারে চিতাবাঘের মতো জ্বলে উঠতে থাকলো সর্ষে ফুল। আমি কি ভুল দেখছিলাম স্বপ্নে? নাকি তা বাস্তবের কেদ মাখানো একটি বার্তা? বুঝতে পারছিনা।
একটা আপেল গাছ খুঁজছিলাম, যে আপেল আমাকে ভর শূন্য করে দেবে।


Read More

0 মন্তব্য(গুলি):

সোমবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১২


আগামীকাল সকালে কার মৃত্যু সংবাদ নিয়ে আমার ঘুম ভাঙবে? আজকে এই প্রশ্নটাই মনে হচ্ছে বেজে উঠছে চারপাশে। আমরা কি শোক করবো, নাকি শোকেরও অধিক শক্তি নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকবো যন্ত্র হয়ে? আমরা কি যন্ত্রের চেয়েও বেশি কিছু হয়ে যাচ্ছি না? আসলে যন্ত্রই তো। একটার পর একটা শোক সংবাদ, একটা কাটিয়ে উঠতে না উঠতে আরেকটা শোকের ঢেউ এসে তছনছ করে দিচ্ছে আমাদের শক্তির বালির বাঁধ। একটা সময় আমাদের কাছে ছিলো আগস্ট মাস শোকের মাস। আগস্টে আমরা হারিয়েছি অনেক। বাঙালীদের যত মেধাবীরা ছিলো, তাদের মাঝে শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিদের একটা বড় অংশ এই আগস্ট মাসে চলে গেছেন। যার মাঝে রয়েছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (৭ আগস্ট), হুমায়ূন আজাদ (১১ আগস্ট) তারেক মাসুদ, মিশুক মুনির (১৩ আগস্ট) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান (১৫ আগস্ট), কাজী নজরুল ইসলাম (২৯ আগস্ট)। তারিখ ধরে ধরে এগুলে এই তালিকা আরও দীর্ঘ হবে। কি দরকার শোকের তালিকা দীর্ঘ করার। সেই নির্মম শোকেই কবি নির্মলেন্দু গুণ লিখেছিলেন ‘আগস্ট মাস শোকের মাস, কাঁদো বাঙালী কাঁদো।’ আমরা সেই আগস্টের শোক কাটিয়ে সোজা হয়ে দাঁড়াতেই পারি না। আবারও মৃত্যু এসে ধাওয়া করে। একবার স্বজনের মৃত্যু, একবার বন্ধুর একবার সহকর্মীর একবার প্রিয় ব্যক্তিত্বের।
কিছুদিন আগে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন জাহাঙ্গীরনগর মেরে ফেললো জোবায়েরকে, সাংবাদিক দিনেশ দাস প্রাণ হারালেন সড়ক দুর্ঘটনায়, তার আগে সড়ক দুর্ঘটনায় পা হাড়ালেন সাংবাদিক নিখিল ভদ্র, অমল বোস চলে গেলেন গেলো মাসে। তা না হয় মানলাম তিনি রোগে শোকে ভুগে চলে গেলেন। বয়সও নাহয় অনেক হয়েছিলো। ভাবতে ভাবতে খুন হলো সাগর-রুনি দম্পত্তি। ধারণা করা হচ্ছে প্রফেশনাল কোনও ঘটনার জের ধরে প্রথমে সাগরকে খুন করা হয়েছে। ঘরেই ছিলো তাদের ৬ বছর বয়সী সন্তান মেঘ। বলতে গেলে সন্তানের সামনেই খুন করা হলো বাবা-মা কে। এই শোক ছড়িয়ে গেলো সারা দেশে। প্রতিবাদে মুখর হলো জাতি। কিন্তুএই প্রতিবাদের মুখরতায় আদৌ কি কোনও কিছু হবে? আমাদের জীবন যাত্রা ক্রমেই বিপদসংকুল হয়ে পড়ছে। বাসা থেকে বেড় হওয়ার সময় মনে হয় রাতে ফিরতে পারবো তো? সাগর-রুনি দম্পতি খুনের কোনও সুরাহা ৪৮ ঘন্টায় হলো না। সকাল হতেই খবর পেলাম হুমায়ুন ফরিদী নেই। চলে গেছেন পরপারে। একের পর এক সবাই চলে যাচ্ছে। কেউ স্বাভাবিক, কেউ অস্বাভাবিক ভাবে। প্রতিদিন মনে মনে এখন প্রস্তুতি নিয়ে থাকতে হচ্ছে, কাল সকালে কাকে হারাবো?

কাল সকালে কাকে হারাবো?

at সোমবার, ফেব্রুয়ারী ১৩, ২০১২  |  No comments


আগামীকাল সকালে কার মৃত্যু সংবাদ নিয়ে আমার ঘুম ভাঙবে? আজকে এই প্রশ্নটাই মনে হচ্ছে বেজে উঠছে চারপাশে। আমরা কি শোক করবো, নাকি শোকেরও অধিক শক্তি নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকবো যন্ত্র হয়ে? আমরা কি যন্ত্রের চেয়েও বেশি কিছু হয়ে যাচ্ছি না? আসলে যন্ত্রই তো। একটার পর একটা শোক সংবাদ, একটা কাটিয়ে উঠতে না উঠতে আরেকটা শোকের ঢেউ এসে তছনছ করে দিচ্ছে আমাদের শক্তির বালির বাঁধ। একটা সময় আমাদের কাছে ছিলো আগস্ট মাস শোকের মাস। আগস্টে আমরা হারিয়েছি অনেক। বাঙালীদের যত মেধাবীরা ছিলো, তাদের মাঝে শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিদের একটা বড় অংশ এই আগস্ট মাসে চলে গেছেন। যার মাঝে রয়েছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (৭ আগস্ট), হুমায়ূন আজাদ (১১ আগস্ট) তারেক মাসুদ, মিশুক মুনির (১৩ আগস্ট) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান (১৫ আগস্ট), কাজী নজরুল ইসলাম (২৯ আগস্ট)। তারিখ ধরে ধরে এগুলে এই তালিকা আরও দীর্ঘ হবে। কি দরকার শোকের তালিকা দীর্ঘ করার। সেই নির্মম শোকেই কবি নির্মলেন্দু গুণ লিখেছিলেন ‘আগস্ট মাস শোকের মাস, কাঁদো বাঙালী কাঁদো।’ আমরা সেই আগস্টের শোক কাটিয়ে সোজা হয়ে দাঁড়াতেই পারি না। আবারও মৃত্যু এসে ধাওয়া করে। একবার স্বজনের মৃত্যু, একবার বন্ধুর একবার সহকর্মীর একবার প্রিয় ব্যক্তিত্বের।
কিছুদিন আগে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন জাহাঙ্গীরনগর মেরে ফেললো জোবায়েরকে, সাংবাদিক দিনেশ দাস প্রাণ হারালেন সড়ক দুর্ঘটনায়, তার আগে সড়ক দুর্ঘটনায় পা হাড়ালেন সাংবাদিক নিখিল ভদ্র, অমল বোস চলে গেলেন গেলো মাসে। তা না হয় মানলাম তিনি রোগে শোকে ভুগে চলে গেলেন। বয়সও নাহয় অনেক হয়েছিলো। ভাবতে ভাবতে খুন হলো সাগর-রুনি দম্পত্তি। ধারণা করা হচ্ছে প্রফেশনাল কোনও ঘটনার জের ধরে প্রথমে সাগরকে খুন করা হয়েছে। ঘরেই ছিলো তাদের ৬ বছর বয়সী সন্তান মেঘ। বলতে গেলে সন্তানের সামনেই খুন করা হলো বাবা-মা কে। এই শোক ছড়িয়ে গেলো সারা দেশে। প্রতিবাদে মুখর হলো জাতি। কিন্তুএই প্রতিবাদের মুখরতায় আদৌ কি কোনও কিছু হবে? আমাদের জীবন যাত্রা ক্রমেই বিপদসংকুল হয়ে পড়ছে। বাসা থেকে বেড় হওয়ার সময় মনে হয় রাতে ফিরতে পারবো তো? সাগর-রুনি দম্পতি খুনের কোনও সুরাহা ৪৮ ঘন্টায় হলো না। সকাল হতেই খবর পেলাম হুমায়ুন ফরিদী নেই। চলে গেছেন পরপারে। একের পর এক সবাই চলে যাচ্ছে। কেউ স্বাভাবিক, কেউ অস্বাভাবিক ভাবে। প্রতিদিন মনে মনে এখন প্রস্তুতি নিয়ে থাকতে হচ্ছে, কাল সকালে কাকে হারাবো?

Read More

0 মন্তব্য(গুলি):

এই সাইটের যে কোনও লেখা যে কেউ অনলাইনে ব্যবহার করতে পারবে। তবে লেখকের নাম ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক।

Blogger template Proudly Powered by Blogger. Arranged By: এতক্ষণে অরিন্দম