মঙ্গলবার, ২৭ মার্চ, ২০১২

স্বপ্ন সঙ্গম

at মঙ্গলবার, মার্চ ২৭, ২০১২  |  No comments


প্রথমত ব্যক্তিটি বর্তমানে আর্থিকভাবে স্বচ্ছল। একটি বাড়ি আছে, ব্যবসা আছে, স্ত্রী ও সন্তান আছে। যদিও একটা সময় তার এই আর্থিক স্বচ্ছলতা ছিলো না। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির টাকা ছিলো না। ভর্তির টাকা যোগার করার পর, পড়াশোনার খরচ জোগানোর মত সক্ষমতা ছিলো না। কিন্তু স্বপ্ন ছিলো। এখন স্বপ্নগুলো মরে গেছে। অর্থের পেছনে ছুটতে গিয়ে। তার পরও কিছু কিছু সময় তার মনে হয়, সেই দিনগুলোই ভালো ছিলো। স্বপ্ন দেখতে পারতো। কিন্তু এখন আর সেই দিন ফিরে পাবার সুযোগ নেই দেখে তার হতাশ হয়। সময় পেলেই বেড়িয়ে আসে। মাঝে মাঝে ড্রাইভারকে ছুটি দিয়ে নিজেই চালায় গাড়ি। সবকিছু ঠিকমতই চলছিলো। হঠাৎ একদিন সব এলোমেলো হয়ে যায়। তেমনি একদিন ড্রাইভারকে ছুটি দিয়ে নিজেই গাড়ি নিয়ে বাসায় ফিরছিলো। কিন্তু পথিমধ্যে সে রাস্তা ভুলে যায়, মনে করে সে ঠিক পথেই চলছে। একসময় আর তার বাড়ির কথা মনে থাকে না। তখন রাস্তায় তার গাড়িতে একটি যুবক দুর্ঘটনায় আক্রান্ত হয়। দুর্ঘটনাআক্রান্ত যুবকটাকে দেখে মনে হয় তার যুবক জীবন। সে তাকে বাঁচাতে চায়। কিন্তু পারে না। যুবকটি মারা যায়। তার মনে হয় সে নিজেই মরে গেছে। এদিকে তার বাড়ির লোকজন তার বাড়ি না ফেরার কারন খুঁজতে থাকে। খোঁজে খোঁজে তাকে পায় অস্বাভাবিক একটি স্থানে। বাড়ি ফিরে যাবার কথা বললে সে কাওকে চেনে না। নিজেকে মৃত মনে করে। মনে করে সে আবার বেঁচে উঠবে তার যুবক জীবন নিয়ে।

১. আর্থিকভাবে স্বচ্ছল। বাড়ি, ব্যবসা, স্ত্রী ও সন্তান আছে। কিন্তু জীবন স্বপ্নহীন। এখন শুধু জীবন টেনে বেড়ানোই দায়িত্ব বলে মনে হয়।
২. অতিতে তার বা তাদের পরিবারের এই আর্থিক স্বচ্ছলতা ছিলো না। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির টাকা ছিলো না। ভর্তির টাকা যোগার করার পর,
        পড়াশোনার খরচ জোগানোর মত সক্ষমতা ছিলো না।
৩. ছাত্র থাকাকালিন তার স্বপ্ন ছিলো।
৪. বর্তমানে অতীতের স্বপ্নময় দিনগুলোর জন্য আক্ষেপ রয়েছে।
৫. বর্তমানে মাঝে মাঝে সপরিবারে বেড়াতে যায়। মাঝে মাঝে ড্রাইভারকে ছুটি দিয়ে নিজেই চালায় গাড়ি।
৬. একদিন ড্রাইভারকে ছুটি দিয়ে নিজেই গাড়ি নিয়ে বাসায় ফিরছিলো। পথিমধ্যে বাড়ির রাস্তা ভুলে যায়, মনে করে সে ঠিক পথেই চলছে। চলতে
        চলতে শহর থেকে দূরে চলে আসে। একসময় আর তার বাড়ির কথা মনে থাকে না। তখন রাস্তায় তার গাড়িতে একটি যুবক দুর্ঘটনায় আক্রান্ত হয়।
        দুর্ঘটনাআক্রান্ত যুবকটাকে দেখে মনে হয় এটা তারই যুবক জীবন। সে তাকে বাঁচাতে চায়। কিন্তু পারে না। যুবকটি মারা যায়। তার মনে হয় সে
        নিজেই মরে গেছে।
৭. অফিস থেকে বাড়ি না ফেরায় তার বাড়ির লোকজন তাকে খুঁজতে থাকে। অনেক খোঁজে তাকে পায় একটি হাসপাতালে পাওয়া যায়।
৮. তার স্ত্রী সন্তান তাকে বাড়ি ফিরে যাবার কথা বলে। কিন্তু সে কাওকে চেনে না। নিজেকে মৃত মনে করে। মনে করে সে আবার বেঁচে উঠবে তার
        স্বপ্নময় যুবক জীবন নিয়ে।

Share
About the Author

Write admin description here..

0 মন্তব্য(গুলি):

এই সাইটের যে কোনও লেখা যে কেউ অনলাইনে ব্যবহার করতে পারবে। তবে লেখকের নাম ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক।

Blogger template Proudly Powered by Blogger. Arranged By: এতক্ষণে অরিন্দম