রবিবার, ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০১৩

এ্যাংরী বার্ডকে চিঠি

at রবিবার, ফেব্রুয়ারী ১০, ২০১৩  |  No comments

তুমি দূরের আকাশ। যে আকাশে রাতের অন্ধকারে ঝিলমিল করে তারারা। চাঁদ প্রতি যৌবনে তার আলোর বণ্যায় ভাসিয়ে দেয় অন্ধকার। দিনে তুমি স্বরূপে ফেরো। এই সময় কেউ কি মন দিয়ে তোমার দিকে তাকায়? কেউ কেউ হয়তো তাকায়। নিজেকে যখন শূণ্য মনে হয়, মনে হয় পৃথিবীর লক্ষ কোটি যন্ত্রণার ভেতর অযাচিত একটি মানুষ হুট করে প্রবেশ করার পর যে শূণ্যতা তৈরি হয় সেই মন নিয়ে তখন লোকজন আকাশের দিকে তাকায়। হতাশা থেকে মুক্তি চেয়ে নতুন আশার সন্ধ্যানে। কিন্তু আকাশের দুঃখ দেখে না কেউ। বৃষ্টি দেখে আনন্দ বা হতাশা দুটোই করে মানুষ। আকাশের দুঃখ কি কেউ বোঝে? বোঝে কি সন্ধ্যায় কেনো আকাশের বুকে রক্ত জমা হয়? তুমি কি সেই আকাশ?
গত চারদিন ধরে যে মানুষগুলো নিজেদের সুখ শান্তি আরাম আয়েস বর্জন করে রাজপথকে ঠিকানা করেছে, তুমিও তাদের একজন। আমিও হয়তো তাদেরই দলের, কিন্তু দিনকে দিন অলস হতে যাওয়া আমি বারবার সেই দলে গিয়ে দাঁড়াচ্ছি না। কিন্তু আমি জানি, তোমার মতো লাখো মানুষ সেই জনতার কাতারে। আমি শুধু বলবো তোমার ডানে বা বায়ে বা তোমার পেছনে যে মানুষটির অস্তিত্ব তুমি পেতে পারো সেটা হতে পারে আমার।
ছা-পোশা জীবনে তো নানান সীমাবদ্ধতা থাকে। সেইসব সীমাবদ্ধতার একটাই নিজের ইচ্ছার কাছে পরাধীন থাকা। তবে শান্তনা একটাই, আমার সেই পেশাটা একেবারে জনবিচ্ছিন্ন নয়। বরং জনগণের কাছে যাওয়ার সুযোগ। তবে সেখান থেকে আকাশ অনেক দূরের পথ। তাই তোমার কাছে ফিরতে ইচ্ছে হয় সকাল সন্ধ্যা বিকাল। তুমিই তো সেই আকাশ। যে আকাশের দিকে তাকিয়ে নিঃশ্বাস ছাড়লে বিনিময়ে সাহস যোগায়। ভালো থেকো।

Share
Posted by eliuskomol
About the Author

Write admin description here..

0 মন্তব্য(গুলি):

এই সাইটের যে কোনও লেখা যে কেউ অনলাইনে ব্যবহার করতে পারবে। তবে লেখকের নাম ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক।

Blogger template Proudly Powered by Blogger. Arranged By: এতক্ষণে অরিন্দম